ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় বনগজ গ্রামের ব্রিজের উপর খড়ের বসতি খাল প্রভাবশালীদের দখলে।
মোঃ আল আমিন, জেলা প্রতিনিধি-(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় বনগজ গ্রামের ব্রিজের উপর খড়ের বসতি খাল প্রভাবশালীদের দখলে।
২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজ মানুষের চলাচলের সুবিধা হবে তার জন্যে কে জানত সেই ব্রিজের উপর খড়ের বসতি হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ধরখার ইউনিয়নের তিতাসের তীর ঘেরা বনগজগ্রাম। প্রায় এক হাজার মানুষের বসবাস উক্ত গ্রামে একটিমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সে বিদ্যালয়ে সব সময় জলবদ্ধতা লেগেই থাকে এই গ্রামটির বাড়ির উঠোনে, রাস্তার মাঝখানে বা ঘরের ঠিক পিছনে বানানো হয়েছে সেতু মোট তিনটি অপ্রয়োজনীয় সেতু।
এসকল সেতু চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তবে কেনো এসকল ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে স্থানীয় লোকজন জানায় তিতাস কালিতলা পশ্চিম কবরস্থান থেকে কাদির মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত একটি খাল ছিলো কালের বিবর্তনে খালের কোনো চিহ্ন খুঁজে না পাওয়া গেলেও ব্রিজ থাকার কারণে উপলব্ধি করা যায় যে এখানে কোন এক সময় খাল ছিলো যা এখন প্রভাবশালীদের দখলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ ব্রিজগুলোর সংযোগ সড়ক (অ্যাপ্রোচ রোড) তৈরি না করে উল্টো তাদেরকে হুমকি দিয়েছে এ অনিয়মের কথা কাউকে জানানো হলে তাদেরকে মামলা দেয়া হবে।
২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫০ ফিট দীর্ঘ ব্রিজ টি নির্মাণ করা হয় কর্তৃপক্ষ ব্রিজ করেই খালাস নির্মিত এই ব্রিজের সংযোগ সড়ক না করেই টাকা তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার।
আর ঠিকাদারের এসব অনৈতিক কাজে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে খোদ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোশারফ হোসেন জানান আমি ছোটবেলায় বনগজ খালের মধ্যে নৌকা চলাচল করতে দেখেছি একদিক দিয়ে নৌকা প্রবেশ করেছে অন্যদিক দিয়ে নৌকা বের হয়েছে কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এই খাল পূর্বপাশের এবং পশ্চিম পাশের লোক যার যার বাড়ি বরাবর দখল করে নিয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান যখন ছিল বোরহানউদ্দিন তখন ভাইস চেয়ারম্যান ছিলো শাফিক সাহেব তখন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে অথচ এই ব্রিজের পূর্বপাশে এবং পশ্চিম পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক বা সংযোগ সড়ক করা হয়নি কাজ সম্পন্ন না করে ঠিকাদার উদাও হয়ে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানিয়েছে তখন তিনি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ছিলেন তার কাছে আমরা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে কিন্তু তিনি স্থান পরিদর্শন করেছে ঠিকই কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
অভিযোগ রয়েছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে নির্মাণ করা উক্ত সেতুর অন্তরালে আছে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ।
অভিযোগের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি আখাউড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস দাস। তিনি জানান এ ব্যাপারে আমি বলতে পারব না এখন চলে ২০২০-২০২১ অনেক আগের না তাই কিছু বলতে পারব না।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুর এ আলম জানান খালের উপর ঘরবাড়ি সহ ভরাট হওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে যারা অবৈধভাবে দখল করে আছে তাদের তালিকা করে উচ্ছেদের ব্যবস্থা নিবো খালটি সরকারিভাবে খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা যায় এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় দেখা হবে।