অসহায় বোনকে পুলিশ দিয়ে হয়রানির হোতা প্রতারক ফিরোজ জামান।
সাহাদাৎ হোসেন শাহীন, জেলা প্রতিনিধি-(নারায়ণগঞ্জ)
অসহায় বোনকে পুলিশ দিয়ে হয়রানির হোতা প্রতারক ফিরোজ জামান।
দক্ষিন সস্তাপুর নিবাসী অসহায় আপন বোনকে পুলিশ দিয়ে হয়রানির হোতা প্রতারক ফিরোজ জামানের নামে অভিযোগ উঠেছে। ফিরোজ জামানের সহযোগী তার মেয়ের জামাই আবদুল হাদী।
২৯ সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার সকালে আছিয়া খাতুন বাদী হয়ে ফতুল্লা পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি ও দায়িত্বে অবহেলা ব্যাপারে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করে। ফতুল্লা থানা পুলিশ দিয়ে আছিয়া খাতুনের পরিবারকে তার আপন ভাই ফিরোজ জামান বার হয়রানি করেছে বলে জানা যায়। উভয়ে পিতার দেয়া সম্পত্তিতে বসবাস করছে কিন্তু ফিরোজ জামান পিতার দেয়া রাস্তার উপর বিল্ডিং তৈরি করে অবরুদ্ধ ও মেইন গেটের চাবি না দিয়ে অমানবিক কাজ করেছে।
সুত্রমতে, আছিয়া খাতুন পিতার দেয়া রাস্তা দিয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় দক্ষিন সস্তাপুর পঞ্চায়েত কমিটিতে বিচার দাখিল করে। পঞ্চায়েত কমিটি সবার উপস্থিতিতে লিখিত নির্দেশ প্রদান করে যে ৮ ফুট রাস্তার উপর কোণ স্থাপনা তৈরি করতে পারবেনা।
ফিরোজ জামান ও তার মেয়ের জামাই হাদি পঞ্চায়াতের রায় আমান্য করে জোড়পুর্বক রাস্তার উপর দ্বিতীয় তলার ছাদ তৈরি করে। আছিয়া খাতুন বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করে, বিজ্ঞ আদালত অস্থায়ী নিশেদাজ্ঞা জারী করে, যা ফতুল্লা থানা নোটিশ দিয়ে অবগত করে যেন কোণ পক্ষ কোণ কাজ না করে।
কিন্তু চতুর ফিরোজ জামান থানা পুলিশকে মেনেজ করে কৌশলে কাজ করে যায় এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে। আছিয়া বেগম নারায়ণগঞ্জ এসপি অফিসে অভিযোগ করলে এসপি ক সার্কেলের অতিরিক্ত এসপিকে ব্যাপারটি দেখার নির্দেশ দেন। ক সার্কেল অতিরিক্ত এসপি উভয় পক্ষে নোটিশ প্রদান করেন এবং মীমাংসার জন্য বসেন।
ঐ মজলিশে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষের কথাবার্তা শুনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারিবারিকভাবে ব্যাপারটি মীমাংসা করার জন্য জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উপর ন্যাস্ত করেন। উভয় পক্ষ তাতে রাজী হয়। করোনার প্রাদূর্ভাবের কারনে সংস্থা কার্যক্রম বন্ধছিল। অবস্থা উন্নতি হলে সংগঠন উভয় পক্ষকে নোটিশ ইস্যু করেন, আছিয়া খাতুন নোটিশ গ্রহন করে কিন্তু ফেরোজ জামান নোটিশ গ্রহন করে নাই। বরং ফিরোজ জামান সংগঠনের জেলা সভাপতি সাংবাদিক সুলতান মাহমুদের নামে মিথ্যা জিডি করে পারিবারিক মীমাংসা বিনষ্ঠ করে। এতেই ক্ষান্ত হয়নি ফিরোজ জামান। অসহায় আছিয়া খাতুন নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনের ব্যবস্থা করলে ফতুল্লা থানার এস আই মিজানকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন পন্ড করে।
এ ব্যাপারে আছিয়া বলে, “ ফাতুল্লা থানা পুলিশ আমার মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হরন করেছে। আমি তার সুষ্ঠ বিচার চাই। তাই জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিকট অভিযোগ করেছি”। আছিয়ার অভিযোগটি হুবহুব নীচে দেয়া হলঃ
“আমি নিম্মস্বাক্ষকারী আছিয়া খাতুন, স্বামী-হাফেজ লোকমান গাজী, সাং-দক্ষিন সস্তাপুর, মসজিদ রোড, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ আপনার অফিসে এসে এজহার দায়ের করিতেছি যে আপনার ফতুল্লা থানার পুলিশি হয়রানি বন্ধ করার জন্য।
প্রতারক ফিরোজ জামান ও তার মেয়ের জামাই আব্দুল হাদি থানায় মিথ্যা জিডি বা অভিযোগ করলেই তার কোণ তদন্ত ছাড়াই ফাতুল্লা থানা পুলিশ আমদের উপড় চড়ে বসে, অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে হয়রানি করে।আমি আমার পিতার হেবা দলিল ৭৯১২ তারিখ ০২/০৬/২০১০ ইং মুলে মালিক হয়ে মালিক হয়। যাতে ৮ ফুট রাস্তা উল্লেখ্য করা আছে, আমার পিতা জীবিত থাকা কালীণ সার্ভেয়ার এনে মেপে কলমি নকশা করে আমি নিম্মস্বাক্ষরকারী, আমার পিতা- মরহুম আব্দুস সামাদ ও ফিরোজ জামান, আমেনা সাতো স্বাক্ষর করেন। বর্তমানে আমার আপন ভাই ফিরোজ জামান নানাভাবে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে।
আমি বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ ২য় আদালতে মামলা করি যার নাম্বার ৯৮/১৯ , বিজ্ঞ আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য ফতুল্লা থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করে কিন্তু অনেক বার কল করলেও ফতুল্লা থানা পুলিশ কোণ ব্যবস্থা নেয়নি।অতপর আপনার দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করি, তার প্রেক্ষিতে ক সার্কেল অতিরক্ত এসপি ইমরান মেহেদী আমাদের নোটিশ প্রদান করলে আমরা সার্কেল অফিসে হাজির হই। সার্কেল এসপি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করার জন্য জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির উপর ন্যস্ত করেন।
করোনার কারনে দীর্ঘ কয়েক মাস পর সংঘঠন আমাদের নোটিশ প্রদান করেন উঠান বৈঠক করে মীমাংসা করার জন্য। প্রতারক ফিরোজ জামান সংঘঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতির নামে ফতুল্লা থানায় মিথ্যা জিডী করে বিদায় সংস্থাটি মীমাঙ্গসা করতে পারে নাই। আমি ভুক্তভোগী ২৬ তারিখ শনিবার সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে পুলিশ গিয়ে বন্ধ করে দেয় আর আমাদের শাসিয়ে আসে এস আই মিজান।এর আগে ও ফতুল্লা থানার অনেক এস আই গিয়ে আমাদের অনেক বার দমকিয়েছে, শাসিয়েছে এবং হয়রানি করেছে এবং করছে। ফতুল্লা থানা আমদের মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার হরন করেছে”।
এ ব্যাপারে এসআই মিজান বলে, ফিরোজ জামান কল করেছে তাই আমরা গিয়েছি কিন্তু কোণ লোকজন পাইনাই। এসআই মিজান প্রতিবেদকের আর কোণ প্রশ্নের জবাব দিতে পারে নাই।