পাইকগাছায় আবারও দেলুটিতে ভাংগনঃ ব্যপক ক্ষতি!
খুলনার পাইকগাছার চকরি বকরি বদ্ধ জলমহলের দক্ষিণ পাশ ভেঙ্গে আবারও তিনটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় আম্পানের পর এ এলাকাটি তিনবার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। শুক্রবার সকাল ৮টায় জোয়ারের পানির প্রচন্ড চাপে এটা ভেঙ্গে যায়।
এতেকরে পারমধুখালী, চকরিবকরি ও গেওয়াবুনিয়া তিনটি গ্রাম ফের পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।কাঁচা ঘর বাড়ী, ফসলের ক্ষেত, পুকুর ও চিংড়ী ঘের তলিয়ে গেছে। শতাধিক পরিবার জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
জানাগেছে, গত ঘুর্ণিঝড় আম্পানের পর এনিয়ে তিনবার ভাংগনের কবলে পড়লো এলাকাটি। স্থানীয়রা জানান, অমাবশ্যার জোয়ারে প্রচন্ড পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকগাছার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে ভাঙ্গানের পাশাপাশি ওয়াপদা ছাপিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে।গত বুধবার থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার সকালে গড়ুইখালীর গুচ্ছ গ্রাম, বুধ ও বৃহস্পতিবার সোলাদনার বেতবুনিয়া গুচ্ছ গ্রামসহ তিনটি এলাকা, গদাইপুর ইউনিয়নের কচুবুনিয়া এলাকা ও লতা ইউনিয়নের একটি এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।স্থানীয়ভাবে বাঁধ মেরামত করলেও টেকসই বাঁধের দাবী জানিয়েছেন সোলাদনা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক, দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল ও গড়ই খালী ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করছি।