নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার চৌমুহনী আলীপুর আপন নিবাসে একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করার পরেও কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগ সাজশে চুলার জালানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার ফলে সরকার রাজস্ব থেকেএ বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্খা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, চৌমুহনী আলীপুর আপন নিবাসে ও সৌদি প্রবাসী কামাল উদ্দিনের মালিকানাধীন জিহাদ টাওয়ারে বাখরাবাদ গ্যাস বিভাগ থেকে ৪টি চুলা জ¦ালানোর অনুমতি রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগ সাজশে আরো ৯টি অতিরিক্ত চুলা জ¦ালানো ফলে গত ২৩ জুন ২০১৯ইং তারিখে ঐ ভবনে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেটের নেত্বত্বে রেগুলেটর ও রাইজার খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঐ ভবনের তত্ত্বাবধায়ক ও বাড়ীর মালিকের স্ত্রী (৩২) সহ ভাড়াটিয়া আব্দুর রহমান মানিক, লাকী বেগম ও বাবু’র নিকট থেকে জরিমানার কথা বলে ৩৯ হাজার টাকা আদায় করে। কিন্তু লাইন কর্তনের পর ১ বছর পর্যন্ত শাস্তি হিসাবে জরিমানা সহ পরিশোধ করলেও পুনঃ সংযোগ দেওয়ার সরকারী কোন বিধান নেই। অথচ গ্যাস অফিসে দুর্নীতিবাজ লোকজনের সহযোগীতা লকডাউনের আগের দিন ২৫ মার্চ রাতে গোপনে রেগুলেটর ও রাইজার সংযোগ দেয়। ফলে সরকার বৈধভাবে রাজস্ব পাবে কিনা অন্যথায় জালিয়তির দায়ে ব্যবস্থা হবে কিনা আশপাশের লোকজন অভিমত দেন।
এ ব্যাপারে বাখরাবাদ গ্যাস বিভাগের ডিজিএম মোঃ সোলাইমান উদ্দিন বলেন, ঐ ভবন আমাদের কালো তালিকায় রয়েছে। জরিমানা দিলেও ১ বছরের নিচে পুনঃ সংযোগ দেওয়া হবে না। যদি কোন কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগ সাজশে গোপনে সংযোগ দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে লকডাউন খোলার পর ছাড়া কিছু করা সম্ভব নয়।
ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম বলেন, জিহাদ টাওয়ারের অবৈধ সংযোগ কাঁটার পর কিভাবে গ্যাস জ¦লে তা বোধগম্য নয়। তবে দ্বিতীয় বার অপরাধের জন্য দ্বিগুন শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। লকডাউন খোলার দিকে না তাকিয়ে দু’একদিনের মধ্যে গোপনে তদন্ত করবো।
বাড়ির কেয়ারটেকার টেলিফোনে বলেন, ভবনটিতে যে তুচ্ছ ঘটনা ঘটেছে তা গ্যাস বিভাগের লোকজনের সহযোগীতায় লকডাউনের আগের রাতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে পুনঃ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এ নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করলে যেকোন ক্ষতির জন্য তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে হুমকি দেন।