মধুপুর পৌর শহরের চরপাড়া যাতায়াতের রাস্তার বেহাল দশা।
মো: আ: হামিদ, মধুপুর প্রতিনিধি-( টাঙ্গাইল)
মধুপুর পৌর শহরের চরপাড়া যাতায়াতের রাস্তার বেহাল দশা।
টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের আকাশী পাঁকা রাস্তা হতে ৭ নং ওয়ার্ডের দামপাড়া পাঁকা রাস্তা পর্যন্ত যাতাযাতের আকাশী সামছুল হক( হকে) মাষ্টারের বাড়ীর সামনের রাস্তা খুবই বেহাল দশা। রাস্তার এমন বেহাল দশার কারণে জনসাধারণের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উক্ত রাস্তায় সামছুল হক মাষ্টার তার বাড়ীর সামনে বাঁধ দেয়ার ফলে পানি জমে রাস্তাটি নষ্ট হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে সামছুল হক মাষ্টারের সাথে কথা বললে তিনি জানান রাস্তার পশ্চিম পার্শের সমস্ত পানি আমার বাড়ীর সামনের রাস্তার উপড় দিয়ে গড়িয়ে যাওয়ার ফলে আমার বাড়ীর দক্ষিন পার্শে জলাবব্ধতার সৃষ্টি হয়। আর এ পানি নিষ্কাশনের জন্য যে কালভার্টটি ছিল তা মাটি দিয়ে ভরাট করে দিয়েছে। কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে জলাব্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় আমার ঘর দড়জা পড়ে যাচ্ছে। সে জন্য আমি বাধ দিয়েছি। এদিকে কর্দমাক্ত রাস্তায় যাতায়াতের জন্য পথচারীরা রাস্তার পার্শদিয়ে চলবে তা আবার পশ্চিম পার্শে আরেকজন বেড়া দিয়ে রাখায় যাতায়াতের খুবই অসুবিধা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার ভিশন/২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারাদেশে শহর থেকে শুরু করে প্রতিটি গ্রামের রাস্তাঘাট পাকাকরণ, ঘরে ঘরে বিদ্যুতায়ন এবং বেকারত্ব দুরীকরণ সহ আরও বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের মাধ্যমে এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে অলিগলি, রাস্তাঘাট প্রায়ই পাকা হয়ে গেছে। সারা বাংলাদেশের ন্যায় মধুপুর পৌরশহরেও সেই উন্নয়নের ছোঁয়ায় আজ আলোকিত হয়েছে। অথচ আকাশি হতে চরপাড়া হয়ে দামপাড়া যাতাযাতের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আজ অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। বৃষ্টির পানি জমে বহুদিন যাবৎ পথচারীদের যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়ে রয়েছে। এ রাস্তাটিতে আজও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি পড়েনি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
অথচ এই রাস্তা দিয়েই প্রতিনিয়ত চরপাড়া আকাশী গ্রামের সকল শ্রেনী পেশার শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকেন।
কিন্তু এসব রাস্তার বেহাল দশা দেখে মনে হবে যে, এটা একটা ধানের জমি যা ধান রোপণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর দাবী, বহু পুরনো এই রাস্তাটি খুব দ্রুত সংস্কার করে যাতায়াতের উপযোগী করে দেওয়ার জন্য পৌর মেয়র এর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।