জনগণের সমর্থনে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময় ১১ মাসের কারাবাস থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ দিনে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপনের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তাকে সে সময় কারাগার থেকে মুক্ত করে আনার জন্য সমগ্র দেশবাসীসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এবং তার সংগঠনের নেতাকর্মীদের ভূমিকার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই নিজস্ব বাসভবন ধানমন্ডীর সুধা সদন থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। দিনটিকে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের দিনটি একটি বিশেষ দিন, কারণ, ২০০৭ সালে তদানিন্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাকে গ্রেপ্তার করেছিল। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, আমার বাংলাদেশের জনগণের প্রতি, প্রবাসী এবং বিশ্ব নেতাদের প্রতি। সেই সঙ্গে আমি ধন্যবাদ জানাই আমাদের সংগঠন বিশেষ করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে সব সহযোগী সংগঠনের প্রতি, কারণ তারা প্রতিবাদ করেছিলেন।’
তিনি এ সময় তার মুক্তির জন্য দেশব্যাপী সৃষ্ট গণদাবির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘মহানগর আওয়ামী লীগ ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে সে সময়কার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যালয়ে পাঠিয়েছিল। তাদের সেই সমর্থন পেয়েছিলাম বলেই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক চাপে আমাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। যদিও আমার বিরুদ্ধে বিএনপি আমলে ১২টি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ৫টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।’
তিনি এসব মামলা প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রতিটি মামলার বিষয়ে আমি বলেছি, তদন্ত করে দেখতে হবে- আমি দুর্নীতি করেছি কিনা। ঠিক সেটাই করা হয়েছে এবং আল্লাহর রহমতে সবগুলো থেকেই আমি খালাস পেয়েছি।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘জনগণের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা কারণ তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনেই আমি মুক্তি পেয়েছিলাম।’