জেলার খবর

যশোরে অবৈধ শুকরের খামার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী পরিত্রাণ চাই।

আবদুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় প্রতিনিধি-(খুলনা)

যশোরে অবৈধ শুকরের খামার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী পরিত্রাণ চাই।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও প্রাণি সম্পদ অফিসের রেজিষ্ট্রেশন না নিয়েই গড়ে তুলেছেন শুকরের খামার।

এতে আশপাশের কয়েকটি পরিবারের বসবাস দায় হয়ে পড়েছে।

শুকরের গন্ধ বর্জ্য চারিপাশে ছাড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেও রয়েছে এলাকাবাসী।

যশোরের বাঘারপাড়ার বাকড়ি গ্রামের বাসিন্দা শচিন হালদার পারিবারিকভাবে এ খামার গড়ে তুলেছেন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শচিন হালদার বাড়ির ভিতরে অর্ধশত শুকর পালন করে আসছেন। তার ঘরের পিছনে একটি খামার গড়ে তুলেছেন।

খামারের বর্জ্য একটি পাইপ দিয়ে খোলা একটি গর্তে পড়ছে। শুকরের বর্জ্য পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করায় চারিপাশে মলমূত্রসহ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।

এতে পরিবেশ দূষণ সহ এলাকার ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ওই খামার মালিককে কয়েক দফা বলার পরও কোনো কর্ণপাত না করে তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

শুকরের বর্জ্যরে পানি নালা বেয়ে আশপাশের কয়েকটি পুকুরের মাছ ভেসে উঠেছে।

বুধবার সরেজমিনে খামারে গিয়ে এর সত্যতাও পাওয়া গেছে

স্থানীয় বাসিন্দা সমীরণ বিশ্বাস জানিয়েছেন, শচিনের শুকর পালনে বিকৃত গন্ধে ঠিকমত ভাতও খেতে পারিনা। গন্ধযুক্ত পানি পুকুরে আসায় মাছও মরে গেছে।

বর্তমান বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার মত অবস্থা হয়ে দাড়িয়েছে।বাকড়ি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক উজ্জল বিশ্বাস (বাবু) বলেন, কয়েকমাস আগে ওই খামার মালিকের সাথে এলাকাবাসীর সাথে শালিস বৈঠক হয়।

সেখানে সে (শচিন) ব্যবসা বন্ধ করার অঙ্গিকারও করে। তারপরও অবাধে সে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

শুকরের বিকৃত গন্ধে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।ভুক্তভোগেী সুধীর বিশ্বাস, বাবুল চক্রবর্তি, শিক্ষক বিশ্বজিত পালসহ অনেকেই প্রশাসনের কাছে দ্রুত ওই খামার বন্ধের ব্যবস্থা করে

এলাকার পরিবেশ ভালো রাখার জন্য জোর দাবি জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী আরো অনেকেই জানিয়েছেন, স্থানীয় মেম্বার আশিষ বিশ্বাসের ইন্দনে ওই খামার মালিক অবাধে তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।খামার মালিক শচিন হালদার বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কাগজ নিয়ে ব্যবসা করছি।

বর্জ্যরে বিষয়ে তিনি বলেন, খামারের বর্জ্য আশিষ মেম্বার সারের জন্য তার জমিতে নেবে সেইজন্য একটি গর্তে জমা করে রেখেছি।’স্থানীয় মেম্বার আশিষ বিশ্বাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এফ এম মান্নান কবির বলেন, ‘খামার সম্পর্কে আমার জানা ছিল না, আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button