বগুড়ায় অবৈধভাবে বন্যপাখি সংরক্ষণের অভিযোগে আটক ০১,ভ্রাম্যমান আদালতে সাজাঃ ৩১৪টি বন্যপাখি অবমুক্ত করেছে প্রসাশন
বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ায় অবৈধভাবে বন্যপাখি সংরক্ষণের অভিযোগে আটক ০১,ভ্রাম্যমান আদালতে সাজাঃ ৩১৪টি বন্যপাখি অবমুক্ত করেছে প্রসাশন
বগুড়ায় অবৈধভাবে বন্যপাখি সংরক্ষণের অভিযোগে ১জনকে আটক করার পর ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত বন্যপাখি গুলিকেও অবমুক্ত করা হয়েছে । জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম সেবা মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ সুপার (আদমদিঘী সার্কেল) জনাব মোঃ নাজরান রউফ এর তত্ত্বাবধানে ডিবি, বগুড়ার ইনচার্জ মোঃ সাইহান ওলিউল্লাহ এর নেতৃত্বে টিম ডিবি বগুড়ার অভিযানে ০৪ প্রজাতির ৩১৪ টি বন্য পাখিসহ ০১ জন অবৈধ বন্য প্রাণী সংরক্ষণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে প্রেস রিলিজে জানা গেছে
বগুড়া ডিবির একটি টিম ইং ০১-০৮-২০২২ তারিখ ২০:৪৫ ঘটিকার সময় বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানাধীন গুনাহার ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকা হইতে ৩১৪ টি বন্য পাখিসহ আসামী ১। মোঃ আতোয়ার আলী সাকিদার(৫২), পিতা-মৃত ওছিমুদ্দীন সাকিদার, সাং-ডাঙ্গাপাড়া, থানা-দুপচাঁচিয়া, জেলা-বগুড়াকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামী আতোয়ার আলী সাকিদারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সে দীর্ঘ ০৯/১০ বছর যাবৎ অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা হইতে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী আটক করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চড়া দামে বিক্রয় করে আসতেছিল।
তাহার নিকট হইতে উদ্ধারকৃত বন্যপাখি ফুলমাথা টিয়া(ব্লোসম হেডেড প্যারাকিট) ১৪০(একশত চল্লিশ) টি এবং লালমাথা টিয়া(পাম হেডেড প্যারাকিট) ৪০(চল্লিশ) টি, তিলা মুনিয়া পাখি ৫০(পঞ্চাশ) টি এবং দেশি চাদি ঠোট মুনিয়া ৮৪(চুরাশি) টি সর্বমোট ৩১৪(তিনশত চৌদ্দ) টি চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর শিবগঞ্জ থানাধীন ধুকপুকুর সীমান্তবর্তী এলাকা হইতে সে নিজে সংগ্রহ করিয়া নিজ বাড়িতে বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষন করে রেখেছিল।
সে আরো জানায় যে, এই মৌসুমে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ভারত থেকে খাদ্য আরোহনের জন্য বাংলাদেশে আসলে সে বিভিন্ন কৌশলে প্রতি বছরই তিনি প্রচুর হিরামন টিয়া ও মুনিয়া পাখিসহ অন্যান্য পাখি বিভিন্ন কৌশলে ধরে নিয়ে এসে সংরক্ষন করত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করেন। প্রকৃতপক্ষে বন্যপাখি কেনাবেচা ও সংরক্ষণ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অনেকেই শখ করে বন্যপাখি পোষার জন্য বাসায় রাখে এতে অনেক সময় পাখিগুলো পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে মারা যায়। এসব পাখি যেন বিলুপ্ত না হয় সেই লক্ষ্য জেলা পুলিশ বগুড়ার এই ধরণের অভিযান চলামান থাকবে এবং বন্যপাখি ক্রয়-বিক্রয় ও সংরক্ষন বন্ধের জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।