সেনবাগে ইউপি ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ৪ দিন,সেবা প্রার্থীদের চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি
মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
সেনবাগে ইউপি ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ৪ দিন,সেবা প্রার্থীদের চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৭ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ১০ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে রবিবার (১৯ জুন) পরিষদটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সেনবাগ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
এতে করে ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন ধরনের সেবা নিতে আসা প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন নাগরিক চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণ ও বিল বকেয়ার প্রসঙ্গে পরিষদটির প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপন ও সচিব হুমায়ুন কবির একে অন্যের প্রতি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপন গণমাধ্যমকে জানান,পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী রুহুল আমিন দীর্ঘদিন অসুস্থতা জনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালীন সময়ে আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।
এ সময় আমি বিদ্যুৎ বিল বাবদ ১২,৪১০ টাকা সচিব হুমায়ুন কবিরের নিকট প্রদান করি। কিন্তু সচিব হুমায়ুন কবির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় বিদ্যূৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময়কালীন সকল আয় ব্যায়ের হিসাব লিপিবদ্ধ করে বিগত ২৭ এপ্রিল ২০২২ ইং চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট সোপর্দ করি। উক্ত আয় ব্যায়ের হিসাব সম্পূর্ণ রুপে বুঝিয়া পাইয়া চেয়ারম্যান ও সচিব দুজনেই উক্ত পত্রে স্বাক্ষর প্রদান করেন।
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া কিংবা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণে আমার কোনরুপ সম্পৃক্ততা নেই। সচিবের অবহেলা ও বিল পরিশোধ না করার কারণে অত্র পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
এদিকে সচিব হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে মুঠোফোনে জানান,বিদ্যুৎ বিলের টাকা প্যানেল চেয়ারম্যান জহির হোসেন স্বপন আয় ব্যায়ের হিসাব খাতে উল্লেখ করলেও তিনি ঐ টাকা গুলো পরিশোধ না করে ব্যাক্তিগত কাজে খরচ করেছেন। তিনি সেনবাগ পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের কাছে ২ (দুই) দফা বিল পরিশোধের সময় চেয়ে অনুরোধ ও জানিয়েছেন। যাহা অত্র পরিষদের বিভিন্ন ইউপি সদস্যগণ অবগত আছে।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় তথ্য সেবা কেন্দ্র গত ৪ দিন যাবত ঐ ইউনিয়নে কোন ধরনের নাগরিক সেবা প্রদান করতে পারছেন না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। উক্ত অভিযোগের সতত্যা গনমাধ্যমকর্মীদের নিকট স্বীকার করেন ডিজিটাল তথ্য সেবা কেন্দ্রের পরিচালক সুমন।
এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় দক্ষিণ রাজারামপুর জিতু মিয়া ব্যাপারী বাড়ীর মাসুদ রানা শিপন কর্মস্থল ঢাকা থেকে ৩ দিনের ছুটি নিয়ে অনেক ঘুরাঘুরি করে ও বাচ্চাদের জন্মনিবন্ধন না করাতে পেরে অবশেষে ঢাকায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
মাসুদ রানা শিপনের মতো এরকম প্রতিদিন শতাধিক নারী পুরুষ তাদের জন্মসনদ,ওয়ারিশ সনদ,ব্যবসায়ীক ট্রেড লাইসেন্স,হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করে রশিদ না পাওয়া সহ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তারা এ উক্ত সমস্যা সমাধান কল্পে পরিষদের দায়িত্বশীলদের প্রতি আহবান জানান।