নোয়াখালীতে এক কলেজ ছাত্র সহ পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু।
নোয়াখালীর কবিরহাট ও চাটখিল উপজেলায় পৃথক ঘটনায় এক কলেজ ছাত্র, এক গৃহবধূসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত পৃথক স্থানে তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন, কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কান্দিরপাড় এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে রিফাত হোসেন (১৮), ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম নলুয়া গ্রামের বুদ্ধিনগর এলাকার আব্দুর রহমানের স্ত্রী মনিজা খাতুন (৩৪) ও চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের ছোট জীবন নগর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে ফয়সাল মাহমুদ মুরাদ (১৭)।
স্থানীয় সূত্রে শজানা গেছে, সুন্দলপুর ইউনিয়নের কান্দিরপাড় এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে ও ঢাকার একটি পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র রিফাতের সাথে পার্শ্ববর্তী এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এ নিয়ে রিফাতের বাবা একাধিকবার রিফাতকে বকাঝকা করে।শুক্রবার সকালে বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি শেষে বাড়িতে গেলে ওই সম্পর্ক নিয়ে তার বাবা পুনরায় বকাবকি করে।এতে বাবার ওপর অভিমান করে ঘরে থাকা বক মারার ওষুধ খায় রিফাত।পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের বুদ্ধিনগর এলাকায় নিজ ঘরের মধ্যে কাজ করছিলেন গৃহবধূ মনিজা খাতুন। এ সময় ঘরের টিনের পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তার লিক থাকায় টিন ধরার সাথে সাথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।অপরদিকে বৃহস্পতিবার রাতে জেলার চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নে ছোট জীবন নগর এলাকায় বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি নারিকেল গাছের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ফয়সাল মাহমুদ মুরাদ নামের এক কিশোর।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে মুরাদ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।