জেলার খবর

কপিলমুনিতে পাশাপাশি নতুন মন্দির নির্মানকে কেন্দ্র করে অভিযোগ গড়ালো ইউএনও দপ্তরে

এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)

কপিলমুনিতে পাশাপাশি নতুন মন্দির নির্মানকে কেন্দ্র করে অভিযোগ গড়ালো ইউএনও দপ্তরে

খুলনার পাইকগাছায় দীর্ঘ ২শ বছরের পুরনো মন্দিরের যাতায়াতের একমাত্র পথ বন্ধ করে দিয়ে সেখানে নতুন মন্দির নির্মান করতে যাওয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ অংশের ধর্মপ্রাণ মানুষের বাঁধার মুখে পড়লো একটি পক্ষ। আর এমন ঘটনায় ব্যার্থ হয়ে শেষমেষ ইউএনও দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন পক্ষটি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কপিলমুনি ইউপি’র পুর্ব কাশিমনগর গ্রামে। সম্প্রতি এ ঘটনায় দুটি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানাগেছে, কপিলমুনি ইউপির পূর্ব কাশিমনগর গামে প্রায় ৫০/৬০ ঘর হিন্দু পরিবার শত বছরের অধিককাল বসবাস করে আসছে। পূর্ব পুরুষের সময় থেকে পুরাতন কাশিমেশ্বরী সার্বজনীন মন্দির প্রতিষ্ঠিত। প্রতিবছর সেখানে পুজাপর্বন করেন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মপ্রাণ মানুষ। সম্প্রতি বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় তাদের মধ্যে কয়েক ঘর পরিবার নতুন মন্দির নির্মানের পরিকল্পনা করে।

তারা পুরাতন মন্দির থেকে মাত্র ২০/২৫ গজ দুরে নতুন মন্দির নির্মানে জায়গা খরিদ করেন। সেমতে পুরাতন মন্দিরে যাওয়া আসার একমাত্র পথটির দুপাশে দুটি দাগের ২ শতক জমি দু-মালিকের কাছ থেকে খরিদ করেন সাধন গংরা। এবং জমিটি একত্রিত করতে রাস্তাটি বন্ধ করতে যান নতুন মন্দির কমিটির লোকজন। এতে বাঁধা প্রদান করেন কাশিমেশ্বরী সার্বজনীন মন্দির কমিটি সহ এলাকাবাসী। আর তাতেই বাঁধে বিপত্তি।

স্থানীয় তপন সরকার জানান, তারা পরিকল্পিতভাবে পুরাতন মন্দিরের যাওয়া আসার পথটি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
কাশিমেশ্বরী সার্বজনীন মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সনজিৎ বৈদ্য জানান উপাসনার জন্য পূর্বপুরুষেরা এই মন্দিরটি রেখে গেছেন। এলাকায় আমাদের লোকসংখ্যা কম কিন্তু হিংসা নিয়ে সাধন মন্ডল এসব করছে। তাছাড়া পুরাতন মন্দিরের যাওয়া আসার পথটি বন্ধ করতে চাই তারা।

কিন্তু আমাদের জীবন থাকতে রাস্তা বন্ধ করতে দেয়া হবে না।
এ বিষয়ে নতুন মন্দির কমিটির সভাপতি সাধন মন্ডল জানান, পুরাতন মন্দিরে গেলে তারা মারধর করে, গোলযোগ মেটানোর চেষ্টা করে তারা আপোষে আসেনি। বিধায় নতুন মন্দির নির্মান করতে গেলে তারা বাঁধা প্রদান করে। রাস্তা বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ করা হয়নি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button