বন্ধুর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে বান্ধবীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বন্ধুর সামনে বান্ধবীকে গণধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, ৯ম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বোয়ালখালী থেকে উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ৪ আসামীর মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত শুক্রবার তিন জুন দিবাগত রাতে উপজেলার ফুলতল গোমদণ্ডীর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেফতাররা হলেন— বোয়ালখালী পৌরসদরের পূর্ব গোমদণ্ডী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলাউদ্দীন হাজী বাড়ির বাদশা মিয়ার ছেলে এমরান হোসেন সাগর (১৯), ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রুস্তম আলী বাছেকের ছেলে সানিউল্লাহ আলী রিমন (২০) ও পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চান মিয়া সওদাগর বাড়ির কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. কামাল উদ্দিন (২৬)।
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মায়ের সাথে অভিমান করে ঘর থেকে বের হয়ে গোমদণ্ডী ফুলতল এলাকায় যায় ওই ভুক্তভোগী শিক্ষাথী। সেখানে আলমগীর নামের পরিচিত এক বন্ধুর সাথে দেখা হয় তার।
এরপর কয়েকজন যুবক এতো রাতে তারা এখানে কি করছে জানতে চেয়ে অবরুদ্ধ করে। পরে তাদের সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনের একটি কাঁচা সড়কের নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে আলমগীরের গলায় ধারালো ব্লেড ধরে জিম্মি করে রাখে।
রাত ২টার দিকে যুবকরা মাদকদ্রব্য সেবন করে অটোরিকশায় থাকা স্কুলশিক্ষার্থীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তিনটার পরে বাসায় পৌঁছে দিয়ে এ ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে যায় চলে যায়।
সকালে ওই ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
বোয়ালখালী থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পটিয়া সার্কেলের নেতৃত্বে মামলার ৩ নম্বর আসামি কধুরখীল নাপিতের ঘাটা এলাকার সায়মন (২৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি আরো বলেন, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।