কাঁচা রাস্তা পাকা করার দাবি অসুস্থ রোগীদের হয়ে সাংবাদিক ওসমান আলীর
(মঙ্গলবার জুন ৩০) রাত ৮ বাজে তখন, বাসায় প্রচন্ড গরম তাই বাতাস খাওয়ার জন্য বাহিরে গেলাম। ভালোই লাগছিলো হঠাৎ একটু একটু করে পেট ব্যাথা অনুভব করলাম,মনে করলাম প গ্যাস্টিকের সমস্যা তাই বাসায় আসলাম এ সে মি কোম্পানির একটা ট্যাবলেট খেলাম, তারপর থেকে পেট ব্যাথা বাড়তে শুরু করল,এক পর্যায়ে খুবই বেশি ব্যাথা শুরু হলো, নিশ্বাশ নেওয়া খুব কষ্ট হচ্ছিল । পেট ব্যাথার কারনে কান্না করতে শুরু করলাম ভাবলাম দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো, পরিবারের সবাই কান্না শুরু করলো।ফোন দিলাম ডাক্তার জুলফিকার আলি চাচা কে উনি তখন বাসায় যাচ্ছে ঘটনা খুলে বল্লাম তখন তিনি বললো গ্যাসের ইনজেকশন করতে হবে ভাদুরিয়া বাজারে আসো।
তখন একটা চার্জার অটো আনলো আমাকে ভাদুরিয়া বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য, আটোতে উঠলাম বাড়ির সামনে থেকে এক হাটু কাদা পুরো গ্রামে একই অবস্থা গ্রাম পার করতেই লাগলো ১ ঘন্টা পেটের ব্যাথা আরও বাড়তে শুরু করলো ভাবলাম এই রাস্তায় মৃত্যু হবে আমার, অনেক কষ্ট করে নিয়ে গেলো ভাদুরিয়া বাজারে ইনজেকশন পুশ করলাম একটু ভালো লাগতেছে, আবার বাসায় আসার সময় রাস্তায় ঝাকি খেলাম পেট ব্যাথা অনেক বেড়ে গেলো অনেক কষ্ট করে বাসায় আসলাম।
রাত ১১ বাজে তখন শুরু করলাম বমি করতে অনেক ক্ষন বমি করলাম বাহিরে গিয়ে বসে থাললাম পেট ব্যাথা একটু কমল ঘরে এসে শুয়ে পরলাম আর ভাবতে থাকলাম আজ যদি কোনো সার্জারী, স্টক, ডেলিভারি বা অন্য কোনো সিরিয়াস রোগি যদি থাকতো আমাদের গ্রামে তাহলে রাস্তায় তাদের মৃত্যু হতো মাননীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক মহাদয় ।
মাননীয় সংসদ সদস্য ভেবে দেখুন সাধারণ পেট ব্যাথা নিয়ে গ্রামের রাস্তা পাড় হতে লাগে এক ঘন্টা তাহলে সিরিয়াস রোগিদের কি অবস্থা হবে।
তারা কি হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে পারবে কি, কখনয় সম্ভব নয় মাননীয় সংসদ সদস্য।
মাননীয় সংসদ সদস্য এমপি শিবলি সাদিক মহাদয়ের কাছে আমি অসুস্থ রোগীদের হয়ে আবেদন করতেছি আমাদের ভাদুরিয়া থেকে হরিনাথপুর ফরেস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করে দিন তা না হলেও রাস্তায় ইট বালু দিয়ে আমার মতো রোগিদের জিবন বাচার ব্যবস্থা করে দিন।
মাননীয় সংসদ সদস্য কি বলবো দুঃখের কথা আমাদের গ্রামে ৫ টি পরিবার পানি হয়ে আছে একটু বৃষ্টি হলেই তাদের বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার মতো অবস্থা থাকে না।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রহিম বাদসার সাথে অনেক বার যোগা করার চেস্টা করলেও তিনি কোনো ব্যাবস্যা করে নাই।
ইউপি সদস্য সাকিল বাবু বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের কোনো দাম দেয় না আমরা কি করবো।
আমাদের গ্রামে একটা মাত্র ড্রেন আছে যা আমাদের গ্রামে কোনো কাজে লাগেনা। মাননীয় সংসদ সদস্য একটু বৃষ্টি হলে আমরা মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারিনা,মসজিদের সামনে এক হাটু পানি জমা হয়ে থাকে।
আমি ইনজেকশন পুশ করার পর থেকে অনেক সুস্থ আছি বর্তমানে।
মাননীয় সংসদ সদস্য অামি সাংবাদিক আর কে ওসমান আলী। বাসা নবাবগঞ্জ উপজেলা মাহামুদপুর ইউপির পশ্চিম ফতেপুর গ্রামে ।
০১৭৫১১৭৪৯৩৩।