যেভাবে পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখবেন-প্রকৌশলী মোঃ আবু ইফতিয়ার (ইসান)
তানভীর ইসলাম রাজু,বগুড়া প্রতিনিধি-ঃ
যেভাবে পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখবেন-প্রকৌশলী মোঃ আবু ইফতিয়ার (ইসান)
পারিবারিক বন্ধন এমন একটি বন্ধন যা সারা জীবন এমনকি মৃত্যুর পরেও অটুট রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যুগে যুগে অনেক মহামারি এসেছে এই সুন্দর পৃথিবীতে। এমনই এক মহামারি বর্তমানে বিরাজ করছে যার নাম করোনা, যেটি চীনে প্রথম বিস্তার লাভ করলেও বর্তমানে বিশ্বের ২০৫ টি দেশ আক্রান্ত হয়েছে। এমতাঅবস্থায় পারিবারিক বন্ধন আরো দৃঢ় করার মাধ্যমে এই বর্তমান মহামারিটাও কাটিয়ে উঠতে পারি।
পারিবারিক বৈঠকঃ আধুনিক বিশ্বে আমরা সবাই যার যার মত ব্যস্ত থাকি। কেউ অফিস, কেউ পড়াশোনা আবার কেউ সংসারে নানাবিধ কাজে তাই পরিবারের বাকি সদস্যদের সাথে সেইভাবে সময় দেয়ার সু্যোগ হয়ে ওঠে না। কিন্তু এই দুর্যোগের কারণে আমাদের অনেকের এখন স্কুল বন্ধ বা অফিস ছুটি। এই সময় টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় পরিবার কে দেয়ার। তাই আমারা এই সময় পরিবারের সবার সাথে আনন্দঘন সময় কাটানো মাধ্যমে পারিবারিক বন্ধন আরও দৃঢ় করতে পারি।
পারিবারিক যে কোন কাজে পরিবারের মহিলাদেরকে বিশেষ করে স্ত্রীকে সহযোগীতা করা বা
স্ত্রীর প্রতি দায়ীত্বশীল আচরনঃ দাম্পত্য জীবনের অনেক সময় বিচ্ছেদর ঘটনা ঘটে থাকে তার মধ্যে একটি অন্যতম কারণ হল স্ত্রীকে সময় কম দেয়া। এই অভিযোগ আমরা হরহামেশাই শুনতে পারি। এইতো অপযুক্ত সময় স্ত্রীর প্রতি দ্বায়িত্বশীল আচারণ করার। এই সময় আমরা কিছু টুকটাক অনেক কাজেই স্ত্রীকে সাহায্যের হাত বাড়িতে দিতে পারি।
বৃদ্ধ বাবা মা থাকলে বাসা থেকে বের হওয়া আগে এবং বাসায় প্রবেশ করে, আগে তাদের সাথে দেখা করে তাদের খোঁজ খবর রাখা। আর তারা যেন এই মহামারি তে যাতে আতংকিত হয়ে না পড়ে সেই জন্য তাদেরকে সব সময় হাসিখুশি রাখতে হবে।
একটা সুন্দর পরিবারের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল পরিবারের যেকোন সিদ্ধান্তের আগে সবার পরামর্শ নেওয়া।
বয়োজৈষ্ঠ্যদের পাশাপাশি পরিবারের ছোটদেরকেও মূল্যায়ন করা এবং তাদের কাছেও পরামর্শ চাওয়া হতে পারে একটি যুগোপযোগী কাজ। কারণ এখন ছোটরাও তথ্য-প্রযুক্তি কল্যাণে কোন অংশে পিছিয়ে নেই। এতে যেমন সবার আত্মাসম্মান বজায় থাকে তেমনি সবার সাথে সুসম্পর্ক অটুট থাকে সেই সাথে হয়ে যায় একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া।
আবার আমাদের পরিবারের অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েদের খুব বেশি অনলাইন নির্ভর না করে তাদেরকে এখন পর্যাপ্ত সময় দিয়ে মানসিক বিকাশে সহায়তা করতে পারি।
ধর্মীয় অনুশাসন গুলো সকলে একসাথে আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে পালন করা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার মধ্য দিয়ে পরিবারের সদস্যদের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ আরও বৃদ্ধি করা যেতে পারে। (হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য পরিবারের সবাই মিলে এক সাথে প্রার্থনা করা।)
প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রতি সদয় ব্যবহারের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও মজবুত করা যেতে পারে।
রাষ্ট্রীয় সকল নিয়মকানুন মেনে যার যার অবস্থানে থেকে এবং পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখার মাধ্যমে সকল বিপর্যয় উতরিয়ে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
মূল কথা, যেকোন মহামারি তে আতংকিত না হয়ে সচেতনতা, সতর্কতা আরও জোরদার করতে হবে।