স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের সেঞ্চুরি
অবিশ্বাস্য, অবনদ্য; মাহমুদুল হাসান জয়ের ইনিংসটিকে যাই বলা হোক না কেন, সেটাই হয়তো কম হয়ে যাবে। বাংলাদেশের অন্য ব্যাটাররা যেখানে একের পর উইকেট বিলিয়ে দিচ্ছেন, তখন অনেকটা স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন জয়।
জাতীয় দলের হয়ে জয়ের এটি প্রথম শতক। সেঞ্চুরি পূরণ করতে তার খেলতে হয়েছে ২৬৯ বল। যেখানে ১০টি চার ও একটি ছয়ের মার খেলেছেন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারে তার একটি হাফ সেঞ্চুরিও আছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টেস্ট ক্যারিয়ারে তিনি খেলেছেন ৫১০ বল। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম তিন টেস্টের ক্যারিয়ারে তার চেয়ে বেশি বল খেলেছেন মাত্র দুজন–আমিনুল ইসলাম ও রাজিন সালেহ।
জয়কে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ইয়াসির আলি চৌধুরী। দুজনের ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটের শিকার হন এই ব্যাটার। ৩৭ বলে ২২ রান করেছেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ এখন ২৩৫। টাইগাররা প্রোটিয়াদের চেয়ে এখনো ১৩২ রানে পিছিয়ে।
তৃতীয় দিনের শুরুতে তাসকিন আউট হয়ে গেলে লিটন দাসকে নিয়ে দারুণ ঢঙে ব্যাট শুরু করেন জয়। তাদের জুটিতে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। দুজনে মিলে লাঞ্চ বিরতির আগে গড়েন ৮২ রানের জুটি। ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৮৩ রান। জয়ের ব্যাট থেকে ৮০ ও লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। বিরতি থেকে ফিরেই লিটনের উইকেট হারায় টাইগাররা। লিজাড উইলিয়ামসের এক ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড হন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৪১ রানে ফিরে যান লিটন, তিনি বল খেলেছিলেন ৯২টি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার জয় ও তাসকিন। এদের মধ্যে তাসকিন খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকবেন, তা হয়তো বেশির ভাগ মানুষই আশা করেনি। হয়েছেও তা-ই, দিনের শুরুতেই তাসকিনের উইকেট হারায় মুমিনুল হক বাহিনী। তাকে শিকারে পরিণত করেন লিজাড উইলিয়ামস।