ইউক্রেনকে দুই ভাগ করতে চায় রাশিয়া
প্রায় ১ মাসের বেশি সময় থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চলেছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধপরিস্থিতি এই দীর্ঘ সময়েও কোনো সমাধানের মুখ দেখেনি বরং পরিস্থিতি বর্তমানে আরো অবনতির দিকে। এতিমধ্যেই বিশ্বের প্রায় সব দেশ এই আগ্রাসনের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনায় মেতেছেন। সম্প্রতি উক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনকে দুই ভাগের চেষ্টা করছে। পুরো দেশ দখলে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে রোববার (২৭ মার্চ) রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কিরিলো বুদানভ একটি বিবৃতিতে বলেছেন, রাশিয়া ‘ইউক্রেনকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো তৈরি করতে’ চাইছে। তবে মস্কোর এই চেষ্টা নস্যাত করতে তার দেশ শিগগিরই রুশ অধিকৃত ভূখণ্ডে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।