আফিফ-মিরাজের ব্যাটিং এ বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯৪
সিরিজ জয়ের ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে প্রথমসারির ব্যাটারদের ব্যার্থতার পরে আফিফ-মেহেদির ব্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫০ ওভার শেষে ১৯৪ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ দল। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে’র দশ ওভারে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বাংলাদেশের প্রথম তিন ব্যাটার তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। পরে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মিডলঅর্ডারের দুই ব্যাটার ইয়াসির আলি রাব্বি এবং মুশফিকুর রহিম। কাগিসো রাবাদা একাই নেন ৫ উইকেট।
এরপর উইকেটে এসে শুরু থেকেই পাল্টা আক্রমণের পথ বেছে নেন তরুণ বাঁহাতি ব্যাটার আফিফ। রাবাদার করা ১৪তম ওভারে তিন বলের ব্যবধানে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। যা খানিক স্বস্তির বাতাস বইয়ে দেয় বাংলাদেশ ডাগআউটে। পরে টেম্বা বাভুমার বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৭ ওভারে দলের পঞ্চাশ পূরণ করে দেন আফিফ। তরুণ সতীর্থের দেখাদেখি হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহও। প্রোটিয়া অধিনায়কের করা ২৩তম ওভারে জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। এক ওভার পর কেশভ মহারাজের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আফিফের সঙ্গে পঞ্চাশ রানের জুটি পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ।
কিন্তু তিনিও বেশিদূর যেতে পারেননি। দলীয় একশ হওয়ার আগে তাবরাইজ শামসির ফাঁদে পা দেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের ২৮তম ওভারে লেগ স্লিপ নিয়ে বোলিং শুরু করেন শামসি। প্রথম বলেই ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে সেই স্লিপে দাঁড়ানো জানেমান মালানের হাতে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। দলীয় ৯৪ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে তিন চারের মারে ৪৪ বলে ২৫ রান করেছেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে ভাঙে ৬০ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। অভিজ্ঞ সতীর্থ ফিরে যাওয়ার পর উইকেটে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান মেহেদি মিরাজ।
এরপর দেখেশুনে খেলতে থাকেন আফিফ ও মিরাজ। রাবাদার করা ৪৪তম ওভারে ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বাউন্ডারি পেয়ে যান আফিফ। মহারাজের করা পরের ওভারের প্রথম বলে স্লগ সুইপে বিশাল এক ছক্কা হাঁকান মিরাজ। সেই ওভারে আসে ১০ রান। কিন্তু গড়বড় ঘটে যায় ৪৬তম ওভারে। রাবাদার করা সেই ওভারের প্রথম দুই বল ডট দেওয়ার পর স্লোয়ার ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে শর্ট মিডউইকেটে বাভুমার হাতে ধরা পড়েন আফিফ। তার ব্যাট থেকে আসে ৯ চারের মারে ১০৭ বলে ৭২ রানের ইনিংস।
এক বল পর স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হন মিরাজও। তিনি ড্রাইভ করতে গিয়ে ধরা পড়েন মিড অফে দাঁড়ানো মালানের হাতে। এই উইকেটের মাধ্যমে ৫ উইকেট পূরণ হয় রাবাদার। আউট হওয়ার আগে ১ চার ও ২ ছয়ের মারে ৪৯ বলে ৩৮ রান করে মেহেদি মিরাজ। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদ ৯*, শরিফুল ইসলাম ২ ও মোস্তাফিজুর রহমান ২* রান করলে ১৯৪ রানে থামে বাংলাদেশ। রাবাদার ৫ উইকেট ছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন লুঙ্গি, বাভুমা, তাবরাইজ ও পারনেল।