শিক্ষাঙ্গন

শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম পুরোদমে চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্থগিত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। তবে কোনো শিক্ষার্থী সুনির্দিষ্ট কারণে বিদ্যালয়ে সশরীরে অনুপস্থিত থাকলে সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজ ব্যবস্থাপনায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। বুধবার (১৬ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, মাউশির অওতাধীন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনার কারণে চলমান অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পুনরায় নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তবে কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির কারণে শিখন ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, দীর্ঘ দুই বছর পর মঙ্গলবার ফের আগের রূপে ফিরেছে শিক্ষাঙ্গন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মুখরিত স্কুল-কলেজের ক্যাম্পাস। তবে পুরোদমে ক্লাস শুরু হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে গাদাগাদি করে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বসানো হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই হাত ধোয়া ও মাস্ক পরার প্রতি উদাসিনতা দেখা গেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের শিখন জ্ঞান অর্জনে প্রতি সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া শুরু হয়। সপ্তাহ শেষে তা তৈরি করে শিক্ষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যস্ত রাখতে ও সিলেবাস এগিয়ে নিতে এ কার্যক্রম শুরু করে সরকার।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয় গত ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস। ২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাঙ্গনগুলো আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। ২ মার্চ শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস। টানা দুই বছর বন্ধের পর গত ১৫ মার্চ প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button