টাঙ্গাইলের মধুপুরে কলা গাছের সাথে শত্রুতা
টাঙ্গাইলের মধুপুরে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিরা রাতের আঁধারে কলা গাছের সাথে শত্রুতা সাধন করেছে। তারা ৬ শতাধিক গাছের কলার কাদি কেটে নষ্ট করে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মধুপুর উপজেলার আউশনারা ইউনিয়নের বোকারবাইদ গ্রামে।
জানা যায়, উপজেলার বোকার বাইদ গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে বাদশা মিয়া ৪৫ শতাংশ জমিতে কলা চাষ করেছেন। তিনি ওই বাগানে এক হাজার ছয়শত কলার চারা রোপন করেছেন। টানা এক বছর ধরে পরিচর্যার ফলে কলাবাগানের সকল গাছেই বৃহদাকারের কলার কাদি ধরেছে। মাস খানেক পরেই কলাগুলো বিক্রির উপযোগি হবে।
বুধবার দিবাগত রাতে কে বা কারা কলাবাগানের সকল গাছের কলার কাদি কেটে বাগানেই ফেলে রেখেছে। এতেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। বাড়ির পাশের ছোট ছোট আমগাছ কেটে ফেলেছে। রান্না ঘরের চুলা ভেঙে ফেলেছে। হাড়ি পাতিল নিয়ে গেছে।
বাগানের মালিক বাদশা মিয়া বলেন, নিত্যদিনের মতো রাতে সকলেই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। বৃহস্পতিবার সকালে ঘুম থেকে জেগে বাইরে এসে দেখি লঙ্কা কান্ড। আম গাছগুলো মাটিতে পড়ে আছে। রান্না ঘরের চুলা ভাঙা। হাড়ি পাতিল নেই। পাশের কলা বাগানে কলার কাদি কলা বাগানেই মাটিতে পড়ে আছে। এগুলো দেখে অবাক হয়ে যাই। আমার সাথে কারো শত্রুতা নেই। কে এই সর্বনাশ করলো বুঝতে পারছি না। এই বাগান করতে গিয়ে অনেক ঋণ গ্রস্ত আমি। কিভাবে আমি ক্ষতি পুষিয়ে উঠবো জানি না। আমি ন্যায় বিচারের জন্য আইন আদালতের দ্বারস্থ হবো।
বাদশা মিয়া আরো জানান, এই বাগানের কলার চারা রোপন থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত তিন লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে। চলমান বাজার মূল্য বহাল থাকলে মাস খানেক পরেই সাড়ে ছয় লক্ষ টাকার কলা বিক্রি করা যেতো।
এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তারিক কামাল জানান, কলা কেটে ধ্বংস করার একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে।