সোনাতলায় কৃষকের সোনালি স্বপ্ন ঘরে উঠার অপেক্ষায়
বগুড়া সোনাতলায় কৃষকের সোনালি স্বপ্ন এখন ঘরে উঠার অপেক্ষায় রয়েছে। সোনাতলা উপজেলার সদর ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলিতে এখন পাট জ্যাগ শেষে চলছে আলাদা করার পালা।
এ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। অপরদিকে পাটকাঠি রৌদ্রে শুকিয়ে সংরক্ষনে ব্যস্ত কৃষানীরা। স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছে ফাল্গুন অথবা চৈত্র মাসের প্রথম সপ্তাহে জমিতে পাটবিজ বপন করা হয়।
এরপর সেটি পর্যায়ক্রমে পাট হিসাবে প্রস্তত হলে আষাঢ় মাসে পাট কেটে পানিতে ভিজে রাখতে হয় ১০/১৫ দিন এবং ওই পাটগুলি যাতে করে বণ্যার পানির স্রোতে ভেসে না যায় সে কারনে কৃষকেরা পাটগুলি একটি লাঠি দ্বারা আঁটি করে বেঁধে রাখে।
জোড়গাছা ইউনিয়নের সোনাকানিয়া গ্রামের কৃষক আঃ জলিল বলেন,এবার পাটের ফলন খুব ভাল হয়েছে বাজারে পাটের চাহিদা থাকায় দামটা অনেক বেশি। তিনি আরো বলেন বিঘা প্রতি এবার পাট ফলন হয়েছে ১০/১২ মন হারে এবং প্রতিমন পাটের এবার বাজার মুল্য ৩ হাজার থেকে ৩৫শত টাকা তাতে করে বিঘাপ্রতি খরচ বাদে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ হবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মাছুদ আহম্মেদ বলেন,এবারএ উপজেলার পাট চাষিরা ১৮৫০ হেক্টর জমিতে পাট বপন করার হিসাব থাকলেও সেটি বেড়ে ২১০০হেক্টর জমিতে কৃষকেরা পাট বপন করেছিল। তিনি আরো বলেন এ বছরে আবহাওয়াটা ভাল থাকায় লক্ষমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী পাট উৎপাদন হয়েছে এ উপজেলায়। অপরদিকে এ বছরে পাট অধিদপ্তরের মাধ্যমে ২৪০০শত কৃষকের মাঝে বিজ,সার দেওয়া হয়েছে।