ভর্তির ফলাফলে এক ছাত্রীর নাম ৫ বার
নোয়াখালীতে ভর্তির অনলাইন ফলাফলে এক ছাত্রের নাম ছয়বার আসায় আলোচনায় এসেছে নোয়াখালী জিলা স্কুল।সেই আলোচনা শেষ না হতেই এবার নতুন করে আলোচনায় এলো নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
ভর্তির অনলাইন ফলাফলে ওই স্কুলের এক ছাত্রীর নাম পাঁচবার এসেছে। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়,পঞ্চম শ্রেণির ভর্তির ফলাফলের তালিকার ১৪৯, ১৫০, ১৫৪, ১৭১ ও ১৮০ নম্বর ক্রমিকে একই ছাত্রীর নাম রয়েছে। এ নিয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর অনলাইনে ভর্তির ওই ফলাফল প্রকাশ করে। এতে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির তালিকায় ২৯৫ জনের নাম আসে। উম্মে হাবিবা নামের একজন অভিভাবক বলেন, ‘অনলাইন ভর্তি পরীক্ষায় প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে।এ ধরনের জালিয়াতি যারা করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।’
মাওলা সুজন নামের আরেক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের জন্য গত জানুয়ারি থেকে বাচ্চাকে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছি।সেখানে এমন জালিয়াতি মেনে নেওয়া যায় না।’
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা (ভারপ্রাপ্ত) মেহেরুন নেছা এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নাছিমুল হককে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি। তবে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাফিজুল হক বলেন, ‘বিষয়টি আমিও শুনেছি। মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে এ ব্যাপারে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, আবেদনে কোনো ধরনের জালিয়াতি ধরা পড়লে ওই শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হবে। এছাড়া ভর্তি-সংক্রান্ত কোনো ধরনের জন্মনিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপেজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এর আগে একই ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালী জিলা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইন লটারির ফলাফলে। এতে দেখা যায়, তালিকায় এক ছাত্রের নাম ছয়বার এসেছে।এ ঘটনায় অনলাইন লটারি নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।