মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬২১ জনে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৯৪৬ জন। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লাখ ২৬ হাজার ৬০৬ জন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
দেশে ৬৬টি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ১৭ হাজার ৫৮৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯৯টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩টিতে।
দেশে নতুন করে আরো এক হাজার ৮২৯ জন করোনারোগী সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫১ হাজার ৪৯৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ, তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ২৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৩৯ জনের মধ্যে ৩২ পুরুষ এবং সাতজন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের দুজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের সাতজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের বয়সসীমার একজন রয়েছেন।
এদের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন করে, খুলনা ও রাজশাহীতে পাঁচজন করে, রংপুরে চারজন, ময়মনসিংহে তিনজন এবং বরিশাল বিভাগে দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন এবং বাসায় থেকে মারা গেছেন ১১ জন। বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান ডা. নাসিমা।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিশ্বের ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৮০ জন মানুষ। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ লাখ ১৯ হাজার ৪৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ গেছে আরও ৫ হাজার ৭১ জনের। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫৯ জনে ঠেকেছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।