দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ
দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। আর সেই অঙ্গীকার পূরণের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করছে সরকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,রবিবার সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের ২য় পর্যায়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিজ কার্যালয় ও ৪৫৯টি উপজেলা প্রান্তের সাথে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
মুজিব শতবর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’-এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে আরও ৫৩ হাজার ৩শ ৪০টি পরিবার নতুন ঘর পেলো রবিবার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিকভাবে দেশকে স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি গৃহায়ন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার। ক্ষমতায় থেকে নিজে খাব, নিজে ভালো থাকব; এটা নয়। ক্ষমতা আমাদের কাছে ভোগের বিষয় নয়। কীভাবে মানুষকে ভালো রাখা যায়, সেটা হলো বড়। একটি ঘর পেয়ে দুঃখী মানুষের মুখে যে হাসি, এটাই জীবনের বড় পাওয়া। মানুষের জন্য মানুষ, এটাই তো সব থেকে বড় কথা। সাধারন মানুষ, জনপ্রতিনিধিরা সরকারের এই কাজে সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এসব প্রকল্পের মধ্য দিয়ে সমাজের হতদরিদ্র শ্রেণী নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখছে। পুরো বাংলাদেশ আমি ঘুরেছি। গ্রামে-গঞ্জে, মাঠে-ঘাটে। আওয়ামী লীগ অধিকার নিয়ে কাজ করে। জাতির পিতা মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব দিয়েছেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। যেখানে জমি পাব না। এই তহবিল থেকে জমি কিনে দেব। ঘরে করে দেব। এভাবে আমরা চাচ্ছি, বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। কোথাও কেউ গৃহহীন থাকলে আমাদের জানাবেন। আমরা তাদের ঘরবাড়ি করে দেব। আমি মনে করি, এতটুকু করলে আত্মা শান্তি পাবে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আলাদাভাবে বাসস্থানের ব্যবস্থা করার কথাও জানান তিনি।
করোনা তহবিলে ৫ কোটি টাকা বঙ্গবন্ধু ট্রাস্ট থেকে দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড নাইনটিনের প্রভাব খুব দ্রুই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। টিকা নিয়ে আসছি, আরও আনব। এরমধ্যে কিন্তু সবার স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনে চলা; হাতধোয়া, মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা দরকার। নিজে ভালো থাকবেন, অন্যকে ভালো থাকতে সহযোগিতা করবেন।
বেশ কয়েকটি অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এসব এলাকার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাভুক্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।