বেগমগঞ্জে করোনাভাইরাসে ৬জন আক্রান্ত, ৪৬জনের নমুনা পরীক্ষাগারে, মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে।
আনোয়ারুল করিম মানিক
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় করোনা ভাইরাসে ৬জন রুগী সনাক্ত ও ৪৬ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এতে নতুন ও পুরাতন আক্রান্ত বাড়তে থাকায় মৃত্যু ঝুঁকির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীমকুমার দাস জানান, উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত চৌমুহনী কলেজ রোডে ২জন, চৌরাস্তায় আপন নিবাসে ১জন, রামপুরে ১জন, রঘুরামপুরে ১জন, মির্জানগরে ১জন রুগী আক্রান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে তিন জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং তিন জনকে নোয়াখালী জেলায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ইতি মধ্যে ১৫৬জনের নমুনা আইইডিসিআর ও চট্টগ্রাম বিআইটি আইডিতে পাঠানো হয়। এতে ১১০জনের নমুনা রিপোট আসে। বাকি ৪৬জনের নমুনা আসলে বুঝা যাবে পরিস্থিতি কি হয়। তবে সামাজিক দূরত্বের সচেতনতা না বাড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহের দিকে যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, বেগমগঞ্জে অবস্থিত আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজে মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে করোনা ভাইরাস সনাক্তের কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি। হলে বেগমগঞ্জ তথা নোয়াখালীর মানুষের উপকার হবে। এই উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হইনি তবে যেভাবে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে আসছে তাতে ভাইরাসে আক্রান্ত হতেও পারে। তবে মানবতার স্বার্থে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যেতে তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বেগমগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রট সরওয়ার কামাল বলেন, এই উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক দিন ধরে অভিযান চালিয়ে বহু ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। এই ছাড়াও চৌমুহনী শহর এবং উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে অধিক মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার এক কর্মকর্তা জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং অকারনে ঘর থেকে বের হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, ভ্যান, ইজি বাইক, সিএনজি এই সব পরিবহন চলাচলে পুলিশ কঠোর ভূমিকা পালন করলেও অনেকে তথ্য গোপন করে রাস্তাঘাট, হাট বাজার, গুলোতে অবাধে বিচরন করায় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়ছে।
এই ব্যাপারে নিম্ম আয়ের লোকজন অভিযোগ করেন, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থা তাদের নিকট থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন নিলেও কোনো সাহায্য না পাওয়া পরিবার পরিজনের ক্ষুদা মিটাতে রিকশা, সিএনজি, ভ্যানগাড়ি, ইজিবাইক নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়। এতে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকধারীরা তাদেরকে শারিরিক নির্যাতন ও গাড়ি ভেঙ্গে ফেলে। এতে আতœহত্যা বা অন্য কোনো ভাবে মৃত্যু ছাড়া অন্য কোনো নেই।
অপরদিকে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন ক্ষোভের সাথে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ষোষিত ঘরে ঘরে খাবার পৌছানো কর্মসূচি মুখে আছে কাজে নেই। পছন্দের লোক ব্যতিত কাউকে সাহায্যে দেওয়া হয় না। প্রতিবাদ করলে শারিরিক বা মানুষিক যন্ত্রনার কবলে পড়তে হয়। তাই মধ্যবিত্ত পরিবারের সঠিক তালিকা তৈরি করে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেন।