আন্তর্জাতিক

আমির খানের বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি বিজেপি এমপির

বলিউড অভিনেতা আমির খানের একটি বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এর প্রস্তুতকারী সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির এক সংসদ সদস্য। তার অভিযোগ, এর মাধ্যমে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।

সম্প্রতি একটি টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থার বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, আমির খান রাস্তায় আতশবাজি পোড়াতে বারণ করছেন। কর্নাটকের উত্তর কন্নড়ের বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ের দাবি, ‘যে ভাবে রাস্তায় বাজি পোড়াতে বারণ করছেন আমির, ঠিক তেমনই নামাজের নামে রাস্তা বন্ধ করে রাখা এবং মসজিদের মাইক থেকে আজানের ধ্বনি নিয়েও কিছু বলা উচিত।’

গত ১৪ অক্টোবর, টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থার এক কর্মকর্তাকে লেখা চিঠিতে বিজেপি সাংসদ লিখেছেন, ‘বিজ্ঞাপনে যে বার্তা দেয়া হচ্ছে, তা হিন্দুদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে।’

চিঠিতে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে সংস্থাটি হিন্দু ভাবাবেগের প্রতি সম্মান দেখাবে।

চিঠিতে বিজেপি সাংসদ লিখেছেন, ‘আপনার সংস্থার সাম্প্রতিক বিজ্ঞাপন, যেখানে আমির খান সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দিচ্ছেন রাস্তায় বাজি না পোড়ানোর, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই প্রসঙ্গে আমি আরো একটি সমস্যার দিকে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, যেখানে প্রতি শুক্রবার নামাজের নামে এবং অন্যান্য উৎসবের নামে রাস্তা বন্ধ করে রাখেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা। নামাজের সময় যখন রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়, তখন অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকে পড়ে। ট্রাফিকের সমস্যার জেরে বড়সড় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি সব সময়ই অনুমোদিত মাত্রা ছাড়িয়ে যায়।’

এর পর চিঠিতে বিজেপি সাংসদের সংযোজন, ‘হিন্দুদের প্রতি যুগ যুগ ধরে যে বঞ্চনা করা হয়েছে, আমি নিশ্চিত, একজন হিন্দু হিসেবে তা আপনিও অনুভব করতে পেরেছেন। বর্তমানে হিন্দুবিরোধী অভিনেতাদের গোষ্ঠী সর্বদা হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত দিতে তৎপর। কিন্তু কখনোই তাদের সম্প্রদায়ের ভুল নিয়ে তাদের সরব হতে দেখা যায় না।’

ক’দিন আগেই একটি পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থা বিজ্ঞাপনে উর্দু ভাষা ব্যবহারের কারণে বিজেপির রোষের মুখে পড়েছিল। বিজেপি সাংসদের আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞাপনটি তুলে নিতে বাধ্য হয় সংস্থাটি। তার অব্যবহিত পরই আরো একটি বিজ্ঞাপনে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ বিজেপির। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button