বাঁশখালীর সুপ্রাচীন মসজিদ পরিদর্শনে ফ্রাঁন্সের রাস্ট্রদূত
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালীর সুপ্রাচীন মসজিদ পরিদর্শনে ফ্রাঁন্সের রাস্ট্রদূত
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার সুপ্রাচীন ঐতিহাসিক স্থাপনা বখশি হামিদ জামে মসজিদ পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ মেরিন সুহ।
এসময় তাঁর সাথে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ১০ অক্টোবর’২১ ইং রোববার সন্ধ্যা ৬টার সময় প্রাচীন এ স্থাপনা পরিদর্শনে আসেন রাস্ট্রদুত জ্যাঁ মেরিন। রাস্ট্রদূতকে বাঁশখালীতে অভ্যার্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম, মাদ্রাসা পরিচালক শাহ সুফি হাফেজ মাওলানা আবদুল মজিদ, চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম, বাঁশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি উজ্বল বিশ্বাষ, সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান আহমদুর রহমান, ব্যাংকার ছৈয়দুল আলম প্রমুখঃ। এসময় রাস্ট্রদূতের সফরসঙ্গি ছিলেন অলিয়স ফ্রঁসেস ডঃ সেলভাস থেরেস, চট্টগ্রাম চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডঃ প্রণব মিত্র চৌধুরী।
ঐতিহাসিক মসজিদটি পরিদর্শনকালে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যাঁ মেরিন সুহ বলেন, এটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপুর্ণ একটি স্থাপনা ও পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থান। এখানে আসতে পেরে আমার নিজের বেশ ভালো লাগছে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এরকম প্রাচীন স্থাপনাগুলোর যত্ন ও সংরক্ষণ সবার জন্য জরুরী। এগুলো দেশের সময় ও ঐতিহ্যের সাক্ষী।
উল্লেখ্যঃ প্রায় সাড়ে চারশত বছর পুর্বে আরবী ৯৭৫ হিজরি (১৫৬৮ সালে) চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা গ্রামে একটি সুপ্রাচীন দীঘিরপাড়ে ঐতিহাসিক স্থাপনা বখসি হামিদ জামে মসজিদটি নির্মিত হয়।
মসজিদের ফলক সূত্রে জানা যায়, মসজিদটি মোঘল সম্রাট সুলতান সোলাইমানের আমলে নির্মিত হয়। এ মসজিদটির নির্মাণ কৌশলের সাথে দেশের প্রাচীন স্থাপনা ঢাকার নবাব শায়েস্তা খান মসজিদ এবং নারায়ণগঞ্জের বিবি মরিয়ম মসজিদের মিল রয়েছে। কালের সাক্ষী হয়ে মসজিদটি এখানে দাঁড়িয়ে আছে। এই মসজিদকে কেন্দ্র করে সেখানে নির্মিত হয়েছে মাদ্রাসা, হেফজখানা ও এতিমখানা। প্রতি শুক্রবার এই মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অসংখ্য মুসল্লি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাস্ট্রদূতের বাঁশখালী আগমন উপলক্ষে সারাদিন ব্যাপী সাধারন জনমনে ছিল ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে রাস্ট্রদূত মসজিদ স্থলে পৌঁছলে উৎসুক মানুষের ভীড় জমে যায়।