বগুড়ায় ক্লুলেস মামলার উদঘাটন, রিকশা চালক নুরের হাতে খুন হন গার্মেন্টস কর্মী মিম।
তানভীর ইসলাম রাজু, বগুড়া প্রতিনিধি-ঃ
বগুড়ায় ক্লুলেস মামলার উদঘাটন, রিকশা চালক নুরের হাতে খুন হন গার্মেন্টস কর্মী মিম।
বগুড়ার শাজাহানপুরে ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে গার্মেন্টস কর্মী মিমকে (১৯) হত্যা করেছেন রিকশা চালক নুর ইসলাম।
হত্যার পর ছিনতাই করা ব্যাগ টহল পুলিশ দেখে ফেলায় ব্যাগ রেখে পালিয়ে যান নুর ইসলাম। তবে তারপরও রেহাই পাননি রিকশা চালক নুর ইসলাম। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন।
নুর ইসলাম (২৮), শিবগঞ্জ থানার পাকুড়তলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে বগুড়া শহরের পালশা এলাকায় ভাড়া থেকে রিকশা চালান।
গতকাল রোববার (২১ জুন) সন্ধ্যায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হাসানের আদালতে রিকশা চালক নুর ইসলাম জবানবন্দী দিয়েছেন।
গত শুক্রবার(৫ জুন) সকালে বগুড়ার শাজাহানপুর থানার গন্ডগ্রাম বুড়িতলা এলাকা থেকে গার্মেন্টস কর্মী মিমের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, গার্মন্টেস কর্মী মিম ৪ জুন বিকেলে ঢাকা থেকে বগুড়ায় তার মার কাছে আসার জন্য বাসে ওঠেন।তার কাছে মোবাইল ফোন না থাকায় বাসের সুপার ভাইজারের ফোন দিয়ে মার সাথে যোগাযোগ করেন। রাত ১০ টায় বগুড়া শহরতলী বনানী মোড়ে নামে। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর কোন ক্লু খুঁজে পাচ্ছিল না পুলিশ। বাসের সুপার ভাইজারের সন্ধান করে তার দেয়া বর্ননা অনুযায়ী পুলিশ খুঁজতে থাকে সেই রিকশা চালককে। গত কয়েকদিনে পাঁচ শতাধিক রিকশা চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে গত ১৬ জুন রাতে পুলিশ আটক করে সেই রিকশা চালক নুর ইসলামকে।কিন্তু প্রথমে তিনি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।
পুলিশ সেই তথ্য অনুযায়ী তাদেরকে আটক করে। এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যাচাই করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে আটকৃতরা এ ঘটনায় জড়িত না। বরং রিকশা চালক নুর ইসলামের সাথে পুর্ব শত্রুতার কারণে তাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। নুর ইসলামকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি জানান, মেয়েটির বড় ব্যাগ দেখে ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে তিনি একাই ঘাড়ে রড দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় টহল পুলিশ দেখে ব্যাগটি, এজন্য তিনি ব্যাগটি ফেলে দেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি ছিল ক্লু লেস। পুলিশ গত কয়েকদিন ধরে শ্রম দিয়ে সন্দেহজনক ভাবে রিকশা চালক নুর ইসলামকে আটক করে। পরে তিনি সব কিছু স্বীকার করেন। এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রড উদ্ধার করা হয়েছে।