জেলার খবর

সিলেটের চুনারঘাটে স্বামীর লিঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্কঃ

চুনারুঘাটে স্বামীর লিঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে স্ত্রী গ্রেফতার
জেলার চুনারুঘাটের পল্লীতে তিলের পিঠা খাওয়াইয়ে অজ্ঞান করে স্বামীর লিঙ্গ কাটার অভিযোগে দিলারা (৪০) নামে এক গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। শনিবার (২০ জুন) ভোর রাতে চুনারুঘাট থানার ওসি শেখ নাজমুল হকের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর তদন্ত চম্পক দাম, এসআই হেলালসহ একদল পুলিশ পাশ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার সাবাজপুর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
দিলারা উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী ইসহাক মিয়ার স্ত্রী। তিনি একই গ্রামের মৃত ছিদ্দিক আলীর মেয়ে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, ইসহাক মিয়ার সঙ্গে গত ২২ বছর পুর্বে প্রথম স্ত্রী দিলারার বিয়ে হয়। কিন্তু ১ম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া বিগত ১৮ সালে একই ইউনিয়নের আবাদ গাও গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে বেলী আক্তারকে বিয়ে করেন ইসহাক মিয়া। এ বিয়ে মেনেনিতে পারেনি প্রথম স্ত্রী দিলারা। সেই বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দিলারা দ্বিতীয় স্ত্রী বেলীকে ডিভোর্স দিতে স্বামীকে অনুরোধ করলেও এতে স্বামী ইসহাক মিয়া রাজি হয়নি। এরই ক্ষোভ নিরবে সহ্য করে দিলারা। আর ফন্দি খুঁজে কিভাবে দ্বিতীয় স্ত্রীকে আলাদা করা যায়।
অবশেষে দ্বিতীয় সংসারের প্রায় আড়াইবছর পর সুযোগ সন্ধানে গত (১৩জুন ) স্বামী ইসহাক মিয়াকে তিলের পিঠা খাওয়ার নিমন্ত্রণ জানায় প্রথম স্ত্রী দিলারা। নিমন্ত্রণ পেয়ে ১৪জুন রাতে সেখানে অবস্থান করে ইসহাক । একপর্যায়ে রাতে স্ত্রীর হাতে বানানো তিলের পিঠা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ইসহাক। অজ্ঞান অবস্থায় ধারালো চাকু দিয়ে তার লিঙ্গ কেটে স্ত্রী পালিয়ে যান। পরে বাড়ির লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী ইসহাককে প্রথমে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (১৯ জুন ) বিকেলে ইসহাক মিয়ার ২য় স্ত্রী বেলী আক্তার বাদী হয়ে দিলার বিরুদ্ধে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ রাতেই দিলারাকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায়। অবশেষে পাশ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলা থেকে গ্রেফতার করেন। চুনারুঘাট থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক জানান, আসামিকে গ্রেফতার ও লিঙ্গ কাটার ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুত্বের সঙ্গে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘনায় জেলা ও উপজেলা জুড়ে তোলপাড় ও রসালো আলোচনার ঝড় উঠেছে।
সুএঃ দৈনিক সিলেট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button