জাতীয়

সোনার দোকানের নিরাপত্তা জোরদারের অনুরোধ

সারা দেশে স্পর্শকাতর জুয়েলারি দোকান ও মার্কেটের নিরাপত্তা জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি। সাভারের আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজারে একসঙ্গে ১৭টি সোনার দোকানে ডাকাতি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির নেতারা এই অনুরোধ করেন। একসঙ্গে ১৭টি সোনার দোকানে ডাকাতি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করেন তারা।

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তারা বলেছেন, ডাকাতির ঘটনায় নয়ারহাটের সাধারণ জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভীতির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

নয়ারহাট বাজারে গত রোববার রাতে একসঙ্গে ১৭টি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

গত সোমবার রাত ১১টার দিকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন রাজবংশী ডাকাতির ঘটনায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে নয়ারহাট বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে চলে যান। দিবাগত রাত দেড়টার দিকে স্পিডবোট ও ট্রলারে করে ৩০ থেকে ৪০ জনের একদল ডাকাত বাজারসংলগ্ন বংশী নদীর ঘাটে নামে। তারা রাইফেল, রামদা, হাইড্রোলিক কাটার, সেলাই রেঞ্জ ও রড নিয়ে বাজারে ঢোকে। বাজারের নিরাপত্তারক্ষীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত, পা ও মুখ বেঁধে একটি মুদি দোকানে ফেলে রাখে।

পরে বাজারের ১৭টি সোনার দোকান থেকে ডাকাত দল আনুমানিক ১২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, ৯১২ ভরি রুপার গয়নাসহ নগদ ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে আনুমানিক ১ কোটি ২ লাখ ৩২ হাজার টাকার অলংকারসহ নগদ টাকা লুট হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর মধ্যে লুট হওয়া স্বর্ণালংকারের আনুমানিক বাজারমূল্য ৭৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর রুপার গয়নার আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ ১২ হাজার টাকা।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপরারেশন) আব্দুর রাশিদ জানান,ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button