অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতেই হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রমটা চালু রাখতেই হবে। কারণ, করোনা কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে। আমরা সবসময় দেখছি শীতে এর প্রাদুর্ভাবটা বেড়ে যায়। কাজেই এখন থেকেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সেই প্রস্তুতিটা নিতে হবে।
তিনি বলেছেন, করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে স্কুলগুলো হয়তো চালু রাখা সম্ভব হবে না। সে কারণে, অনলাইন শিক্ষাটা যাতে প্রত্যেক ঘরে পৌঁছায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। অনলাইন শিক্ষা চালু রাখায় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।
বৃহস্পতিবার সকালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ এবং এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রতিবেদন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে কেউ আবার সংক্রমিত না হয় এবং কেউই যেন টিকাদানের আওতার বাইরে না থাকে। সবাইকে কোভিড -১৯ টিকা নিতে হবে।
সরকারের টিকাদান কার্যক্রমের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের প্রথমে দিয়েছি, এখন শিক্ষার্থীদের দিচ্ছি এবং ১২ বছর বয়স পর্যন্ত যারা তাদের সবাইকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পরিবারের শুধু অভিভাবক নয়, শিক্ষার্থীরাও যাতে টিকা নেয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।