ফের কাঁকড়া ও কুঁচিয়া চীনে রফতানি শুরু
পণ্যে দূর্ষণের কারণে চীনে বন্ধ হওয়া কাঁকড়া ও কুঁচিয়া রফতানি ফের শুরু হয়েছে। ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের রফতানিমুখী এ খাত। ভবিষ্যতে রফতানি পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখতে কাজ করছে মৎস্য অধিদপ্তর।আর্ন্তজাতিক বাজারের কয়েকটি দেশে কাঁকড়া ও কুঁচিয়ে রফতানি হলেও চাহিদা ও বাজার দর ভালো থাকায় চীনই এখন প্রধান রফতানিকারক দেশ।
মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর ৩৩৮.৮৮ কোটি টাকার কুঁচিয়া ও কাঁকড়া রফতানি হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩১৯.১৭ কোটি, ২০২০-২১ অর্থবছরে যা দাঁড়ায় ৩২৭.০৬ কোটি টাকা।
কিন্তু ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে চীনে রপ্তানিকৃত কাঁকড়ায় ক্যাভনিয়াম ও কুঁচিয়ায় হরমন দূর্ষণ ধরা পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় রফতানি। প্রধান বাজার চীনে রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন এ খাতের সঙ্গে জড়িতরা। তারা জানান, চীনে কাঁকড়া বন্ধ করে দেওয়ার পর আমরা বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছেন। দামও ভালো না। চীনে ধারাবাহিকভাবে যদি বিমান চলাচল থাকত তবে তার এই দুর্দিন থাকত না।
চীনে রফতানি বন্ধ হওয়ার পর নড়েচরে বসে মৎস্য অধিদপ্তর। এ দূর্ষণমুক্ত করে চীনের শর্ত মেনে ৫টি প্রতিষ্ঠানের রফতানিতে অনুমোদন মিলেছে।
বাংলাদেশ কাঁকড়া সরবরাহকারী সমিতির সদস্য বিশ্বজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, ‘৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কাঁকড়া যায় চীনে। কাঁকড়া ফের গেলে আমরা আবার সুন্দরভাবে ব্যবসা করতে পারব। এতে কোনো সমস্যা নেই। এখন শুধু বিমান সমস্যা। ফ্লাইট এভেইলএবল হলে আমাদের আর কোনো সমস্যা নেই।’
দেশের তিনটি আর্ন্তজাতিকমানের ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করছে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা মৎস্য পরিদর্শক ও মাননিয়ন্ত্রক উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ নিয়াজ উদ্দিন বলেন, ১২টা প্যাকিং সেন্টারকে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় কয়েকটিকে অনুমোদন দিয়েছে। বিএসিসি অথরিটি যদি অনুমোদন করে তবে আরও কিছু প্যাকিং সেন্টার তালিকাভুক্ত হবে এবং তারা প্যাকিংয়ের সুযোগ পাবে।