অর্থ ও বাণিজ্যজাতীয়

‘আইন সংশোধনের মাধ্যমে ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি ই-ক্যাবের’

আইন সংশোধনের মাধ্যমে ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। বআজ রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ই-ক্যাব ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক অনলাইন সেমিনারে এ আহবান জানানো হয়।
ই-ক্যাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশার সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন ই-ক্যাবের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম শোভন, ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, গ্র্যান্টস ম্যানেজার আবদুস সালাম মিয়া, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াস সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, সহকারী পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

সভায় ই-ক্যাবের সদস্য ও স্ট্যান্ডিং কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ই-ক্যাবের রুরাল ই-কমার্স স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ইবরাহিম খলিলের সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম।
এসময় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াস সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, ব্যবসার গন্ডির বাইরে এসে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ই-ক্যাব কাজ করে যাচ্ছে। ফলে কোন পেশাদার সংগঠন যখন কোন বিষয়ে আওয়াজ তোলে সেটি আইন প্রণেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
ই-সিগারেট বর্তমান প্রজন্মের কাছে স্টাইল ও আভিজাত্যের প্রতীক। আর যুব সমাজ যেহেতু অনলাইনের উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল, সুতরাং অনলাইনে তামাকজাত পণ্যের সহজলভ্যতা তাদেরকে ই-সিগারেটের প্রতি আরো উৎসাহিত করবে। অনলাইনে ই-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যে বিক্রয় বন্ধে ই-ক্যাব এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ই-সিগারেট সবদিক দিয়েই ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিগারেট ছেড়ে দেবার উপায় হিসেবে ই-সিগারেটকে স্বীকৃতি দেয়নি। ভারতে এটি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। পৃথিবীর আরো অনেক দেশেও ই-সিগারেট ক্ষতিকর বলেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমাদের দেশেও ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি।

ই-ক্যাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ব্যবসায়ীদের উচিত সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু বিক্রয় না করা। অন্তত নৈতিক দিক বিবেচনা করে হলেও ব্যবসায়ীদের উচিত তামাকজাত পণ্য বিক্রয় না করা।
ই-ক্যাবের সদস্যদের কাছে আমার এ ব্যাপারে অনুরোধ থাকবে যাতে আমরা ই-সিগারেট সহ তামাকজাত পণ্য বিক্রয় করা থেকে বিরত থাকি। এছাড়া আগামীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সঙ্গে একত্রে তামাক বিরোধী কার্যক্রমে ই-ক্যাব যুক্ত থাকবে বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, প্রায় দেড় হাজার সদস্য নিয়ে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে ই-ক্যাব শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আর ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে এবার উভয় প্রতিষ্ঠানের একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ২০৪০ সালে দেশকে তামাক মুক্ত করা জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণাকে আরো বেগবান করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button