ইউএনওর বাসভবনে হামলা, ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষ
জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার খোলাকে কেন্দ্র করে বরিশালে উপজেলা কর্মকর্তা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও ২ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল (বুধবার, ১৮ আগস্ট) রাত ১১টায় নগরীর উপজেলা কার্যলয়ের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে রাত ১২টার দিকে উপজেলা কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান ও পুলিশের বিচারের দাবিতে ঘটনা স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে আবু বক্কর ও শরিফুল নামের পুলিশ ২ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বরিশাল কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম।
বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুাহ মুনিম জানান, নগর পরিছন্ন রাখার লক্ষে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের নেতৃত্বে কর্মচারীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণের কাজ করছিল। রাত ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার অপসারণ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান ও তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের।
এ সময় কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো. মুনিবুর রহমান আনসার সদস্যদের গুলি করার নির্দেশ দেন। আনসাররা এলোপাথারী গুলি করলে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গুলিবিদ্ধ হয়।
পরে বিষয়টির প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেন সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল ইসলাম লিটু।
অপরদিকে উপজেলা পরিষদের সামনের ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের ওপর ময়লা ও ময়লাবহনকারী গাড়ি দিয়ে রাস্তা আটকে দিয়েছে কর্পোরেশনের কর্মচারীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বরিশাল কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরিস্থিতি শান্ত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সড়কে যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।