বগুড়া সোনাতলায় চায়ের দোকানে অতর্কিত হামলায় প্রায় লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি
বগুড়ার সোনাতলা থানাধীন চরপাড়া দিন আনা দিন খাওয়া পলাশ মিয়া নামের এক অসহায় দরিদ্র চায়ের দোকানদারের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় তার দোকানঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর এবং নগদ টাকা ও মালামাল লুটপাট সহ প্রায় লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
১৬’ই আগষ্ট সোমবার সকালে উপজেলার চরপাড়া বাজারে এঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে গেলে চায়ের দোকানদার পলাশ মিয়া ও স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের উত্তর চরপাড়া গ্রামের মৃত ইলিয়াছ উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে মোঃ মানিক মিয়ার নিকট হতে পাশ্ববর্তি দক্ষিন চরপাড়া গ্রামের মৃত বাচ্চু প্রামানিকের ছেলে মোঃ পলাশ মিয়া দির্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পুর্বে স্থানীয় চরপাড়া বাজার এলাকায় নগদ ষাট হাজার টাকা জামানত দিয়ে একটি ঘর ভাড়া নেয়।
এদিকে সংসারের অভাব অনটনের ফলে রোজি রোজগারের পথ হিসেবে তিনি সেখানে একটি চায়ের দোকান দিয়ে মা ও স্ত্রী সন্তান নিয়ে কোন রকমে দিনাতিপাত করে আসে। এদিকে ঐ জায়গার মালিক মোঃ মানিক মিয়ার সাথে তার আপন ছোট ভাই মোঃ মোহন মিয়ার পারিবারিক দন্দ থাকায় তার অনুপস্থিতির সুযোগে মোহন ও তার স্ত্রী মিনু বেগম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১৬’ই আগষ্ট সোমবার সকালে পলাশ মিয়াকে তার দোকন থেকে বের হয়ে যেতে বলে এবং বিভিন্ন রকম ভয়-ভিতী ও প্রাননাশের হুমকীও প্রদর্শন করে।
এসময় পলাশ তাকে নিষেধ করলে তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে রোজগারের একমাত্র সম্বল দোকানঘর ভাংচুর শুরু করে এবং দোকানের বিভিন্ন মালামাল সহ নগদ চল্লিশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এতেকরে সবকিছু মিলে তার প্রায় তার লক্ষাধীক টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে চা দোকানী জানান।
এদিকে প্রানের ভয়ে কোন উপায়ান্তর না পেয়ে পলাশ ৯৯৯ এ ফোন করলে থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজার নির্দেশে এসআই আমিনুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি তদন্ত করেন। অপরদিকে এলাকার স্থানীয় লোকজন ও পাশ্ববর্তি কয়েকজন দোকানদারদের সাথে কথা বললে তারা ঘটনার সত্যতা জানান।এবিষয়ে জায়গার মালিক মোঃ মানিক মিয়া জানান, আমি পেশাগত কাজে বগুড়ায় ছিলাম।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে সাথে সাথে ছুটে আসি। তিনি বলেন, মোহন শত্রুতামুলকভাবে ইতি পুর্বেও বেশ কয়েকবার আমাদের সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছিলো। এতেকরে বেশকয়েকবার তাকে নিয়ে বিচার শালিশও হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। সেইসাথে এঘটনার সত্যতা স্বিকার করে তিনি মোহন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান।
অপরদিকে মোহনের আরো এক বড়ভাই জানান, ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম। তবে বহুবার তাকে আটকানোর চেষ্টা করলেও সে কোন বাধা নিষেধ না মেনে এঘটনা ঘটিয়েছে।
এবিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারি এসআই আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গেলে ভাংচুরের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। সেইসাথে থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি। এবিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানায় ভুক্তভোগি পরিবার।