বার্সার মেসি-পরবর্তী যুগ জয় দিয়ে শুরু
লিওনেল মেসি ‘সাবেক’ বার্সা খেলোয়াড় হয়ে গেছেন দিনদশেক আগে। তবে বার্সেলোনার শোক পালনের সময় নেই মোটেও, মৌসুম যে শুরু হয়ে যাচ্ছিল। কোচ রোনাল্ড কোম্যান তাই দলে দিয়েছিলেন নতুন এক শুরুর ডাক। সে ডাকে অন্তত প্রথম ম্যাচে সাড়াটা মিলল দারুণভাবেই। লা লিগায় নিজেদের শুরুর ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা।
ন্যু ক্যাম্পে বহুদিন পর দর্শকরা সুযোগ পেয়েছিলেন মাঠে আসার। সময়ের হিসেবে প্রায় সাড়ে সতের মাস পর। তবে ফিরেও যেন শূন্যতা পেয়ে বসেছিল তাদের। অধিনায়ক মেসিই যে নেই! সেই শূন্যতা ঢাকতেই যেন, অনেকে পরে এসেছিলেন মেসির শার্ট। ম্যাচের বয়স যখন দশ মিনিট, তখন মেসি মেসি মেসি রবে মুখর হলো বার্সার মাঠ।
তবে মাঠের পারফর্ম্যান্সে মনেই হয়নি এই দলে মেসি খেলছেন না আর। প্রতিপক্ষ গোলমুখে ৮টি শট নিতে পেরেছে বার্সেলোনা, মোট শট ছিল ১৩টি। যেখানে ১১টি শট করে মাত্র ৩টিই লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল সোসিয়েদাদ।
শুরু থেকে আক্রমণে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরা বার্সা প্রথম গোলটা পায় ১৯ মিনিটে। মেমফিস ডিপাইয়ের দারুণ এক ফ্রি কিকে জেরার্ড পিকে দলকে এগিয়ে দেন। আগের দিনই তার বিশাল বেতন কমানোর কথা এসেছিল সংবাদ মাধ্যমে, এরপরই এই গোল; গ্যালারিতে তাই ছিল পিকে পিকে পিকে রব। এই গোলটা অবশ্য এক মাইলফলকও ছুঁইয়ে দিয়েছে স্প্যানিশ ডিফেন্ডারকে। বার্সার জার্সিতে এটি তার ৫০তম গোল। ডিফেন্ডার হিসেবে দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন আছেন কোচ রোনাল্ড কোম্যান থেকে ৩৮ গোল পেছনে।
বিরতির ঠিক আগে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে বার্সাকে দুই গোলে এগিয়ে দেন মার্টিন ব্র্যাথওয়েট। বিরতির পরও সেই ব্র্যাথওয়েটের গোল। জর্দি আলবার ক্রস ঠেকালেও ডেনিশ এই ফরোয়ার্ডের চেষ্টা ঠেকাতে পারেনি সোসিয়েদাদ। তাতে ইতিহাসের পাতায় উঠে যান তিনিও, স্প্যানিশ লিগের ইতিহাসে কোনো ডেনিশ ফরোয়ার্ডই যে এর আগে জোড়া গোল করে দেখাতে পারেননি!
এতক্ষণ পর্যন্ত বার্সা সহজ জয় দেখলেও ৮২ আর ৮৫ মিনিটে দুই গোল হজম করে কিছুটা শঙ্কাতেই পড়ে যায়। তবে সার্জি রবার্তোর শেষ মুহূর্তের গোলে ৪-২ গোলের দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
এদিকে শিরোপাধারী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও শুরুটা করেছে দুর্দান্ত। আনহেল কোরেয়ার জোড়া গোলে সেল্টা ভিগোকে হারিয়েছে ২-১ গোলে।