প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণ জিতল কাতার
ইতিহাসে নাম লেখালেন ফারেস এলবাখ। কাতারকে দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণ এনে দিলেন এই ভারোত্তলক। টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ফোরামে আজ (শনিবার) ছেলেদের ৯৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে দাপট দেখিয়ে জিতেছেন তিনি।
মিসরীয় বাবার ছেলে এলবাখ স্ন্যাকে ১৭৭ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ২২৫ কেজিসহ মোট ৪০২ কেজি উত্তোলন করেন। তার পর চেষ্টা করেছিলেন ক্লিন অ্যান্ড জার্কের বিশ্বরেকর্ড ২৩২ কেজি তুলতে, তবে কোমড় উচ্চতার বেশি উঠাতে পারেননি।
মোট ৩৮৭ কেজি তুলে দ্বিতীয় হয়েছেন ভেনেজুয়েলার কেদোমার ভেলেনিয়া। তার শেষ উত্তোলনটি বাতিল করা হয়, কারণ সিগন্যাল দেয়ার আগেই বার ফেলে দিয়েছিলেন।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা জর্জিয়ার অ্যান্টন প্লিসনই ভেলেনিয়ার সমানই তুলেছেন। কিন্তু চলতি প্রতিযোগিতায় ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ভেলেনিয়া এগিয়ে থাকায় তিনিই রৌপ্য জিতেছেন।
২০১৬ সালে রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকে এলবাখ সপ্তম হয়েছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ১৮। পাঁচ বছর পর অনেকটাই পরিণত হয়ে এসে সোনার দেখা পেলেন কাতারের এই ভারোত্তলক, মোট তুলেছেন ৪০২ কেজি।
এমনিতেও এবারের অলিম্পিকে তিনি ফেবারিট ছিলেন। কেননা চীনের তিয়ান তাওকে নির্বাচিত করেনি তার দেশ আর ইরানের সোহরাব মোরাদা চোটের কারণে কোয়ালিফাই করতে পারেননি।
মোরাদা আর তিয়ান মিলেই এই ইভেন্টে তিনটি বিশ্বরেকর্ড দখলে রেখেছেন। তারা না থাকায় এটিই ছিল টোকিও অলিম্পিকের একমাত্র ইভেন্ট যেটিতে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে দেখা যায়নি।
সোনা জেতা এলবাখের বাবা ইব্রাহিম হাসোনা একজন মিসরীয়। তিন মিসরের হয়ে ১৯৮৪, ১৯৮৮ এবং ১৯৯২ সালে টানা তিন অলিম্পিকে ভারোত্তলক হিসেবে অংশ নিয়েছেন।