সাভারে সময় টেলিভিশনের চিত্রসাংবাদিক মারধরের শিকার
সাভারে সংবাদ সংগ্রহের সময় মো: মনির হোসেন নামের এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। মারধরের শিকার ওই সাংবাদিক ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাত ১০ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক শফিউল্লাহ। এর আগে আজ বিকেলে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ কবরস্থান রোড এলাকার আমিন মডেল টাউনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক মনির হোসেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টেলিভিশনের চিত্রসাংবাদিক হিসাবে সাভার উপজেলায় হিসেবে কর্মরত আছেন। আটকরা হলেন- রবিউল(৩২) ও আব্দুস সোবহান (৪৫)। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায় নি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
চিত্রসাংবাদিক মনির হোসেন জানান, আশুলিয়ার ওই এলাকায় ৫২ জন ব্যক্তি মিলে অবৈধভাবে একটি নয়তলা ভবন নির্মান করে। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য বিকেলে ওই এলাকায় গিয়ে ফুটেজ সংগ্রহ করার সময় ১০ থেকে ১২ জন অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় গালিগালাজ ও কিল-ঘুষি মারতে থাকলে তিনি আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সহায়তায় ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে আটক করা হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। এদিকে সাভারের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সকল সদস্য হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই নয় তলা ভবনটি নির্মান করা হয়। এব্যাপারে গত ২ জানুয়ারি সাভার ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার (উপসচিব) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভুঞা স্বাক্ষরিত এক নোটিশ প্রদান করেন। নির্মাণকাজ বন্ধসহ ভবনের বাসিন্দাদের ১০ দিনের মধ্যে ভবন ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয় নোটিশে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভবনমালিকদের পক্ষে শারাফাত আলী অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের কথা স্বীকার করে ক্যান্টনমেন্ট বরাবর ক্ষমা চেয়ে একটি আবেদন করলেও তারা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়।
এ বিষয়ে ভবন মালিকপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিউল্লাহ শিকদার জাসান, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।