আখাউড়ায় লকডাউনের মধ্যে ইউএনও ইউপি চেয়ারম্যান নৌকাভ্রমণ
মো. আল আমিন, প্রতিনিধি-(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
আখাউড়ায় লকডাউনের মধ্যে ইউএনও ইউপি চেয়ারম্যান নৌকাভ্রমণ
মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন শুক্রবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক জনপ্রতিনিধির আয়োজনে তিতাস নদীতে নৌকা ভ্রমন হয়েছে। নৌকায় ভ্রমনে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভূইয়া, ইউপি সদস্য কুতুব উদ্দিনসহ ৩০/৩৫জন অংশ নেয়। উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভূইয়া তার ফেসবুক আইডি থেকে নৌকা ভ্রমনের দৃশ্য লাইভ প্রচার করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, নৌকার ছাউনিতে বসা চেয়ারম্যান সহ বেশির ভাগ লোকজনের মুখে মাস্ক ছিল না। এতে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, মহামারি করোনা ভাইসাসের সংক্রমণ রোধে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এসময় মাস্ক পরিধান করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
লকডাউন চলাকালে সভা সমাবেশ, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, পিকনিকসহ জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান আয়োজনে নিষেধ রয়েছে। সরকারের এ বিধিনিষেধের মধ্যে শুক্রবার বিকালে আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভূইয়ার আয়োজনে তিতাস নদীতে নৌকা আনন্দ ভ্রমন হয়েছে।
আজমপুর নৌকা ঘাট থেকে নৌকা ভ্রমন শুরু হয়। নৌকায় ভ্রমন করেন নারী-পুরুষ, শিশুসহ নানান বয়সী ৩০/৩৫ জন লোক। এসময় ভ্রমনকারীরা একে অপরের সাথে গা ঘেষাঘেষি করে বসেন এবং ইউএনও রোমানা আক্তার ছাড়া কারও মুখে মাস্ক ছিল না। নৌকা ঘাটে যাওয়ার রাস্তার মাঝখানে ইউএনও’র সরকারী গাড়ি রাখায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েন ঘাটে যাওয়া সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভূইয়া বলেন, নৌকা ভ্রমনের আয়োজন করি নাই। উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে বলেছিল একটা প্রকল্প দেওয়ার জন্য। ইরিগেশন প্রজেক্ট এবং বিনোদন কেন্দ্রের জন্য একটা ঘাটলা করার। বিষয়টি ইউএনও সাহেবকে দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম।
নৌকায় এত লোকজন থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ও আমার পরিবারের লোকজনসহ এলাকার কিছু লোক এবং ইউএনও স্যারসহ তাঁর পরিবারের কয়েকজন ছিলেন।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তারের বক্তব্যের জন্য শনিবার বেলা তিনটায় মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি কোন কথা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।