জেলার খবর

বগুড়ায় কুরবানীর ঈদে নেই লোহার তৈরী জিনিসের বেচাকেনাঃ বিক্রির আসায় রয়েছে কামারীরা

বিকাশ চন্দ্র, বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ায় কুরবানীর ঈদে নেই লোহার তৈরী জিনিসের বেচাকেনাঃ বিক্রির আসায় রয়েছে কামারীরা

বগুড়ায় কুরবানীর ঈদের বাঁকি ৬ দিন থাকলেও জেলার বিভিন্ন উপজেলার কর্মকার সম্প্রদায়ের লোকজন এখন নতুন ও পুরাতন লোহা দিয়ে তৈরী দা,চাকু,বটি,চাপাতি তৈরি করে পসরা সাঁজিয়ে বিক্রির আসায় থাকলেও নেই তেমন বেঁচাকেনা।

এক সময়ে কাঁকাডাকা ভোর হতে কামার পল্লিতে হাতুড়ির টুংটাং শব্দ আর হাপোরের ফাঁসফুঁস শব্দেই জানান দিতো কোরবানি ঈদ চলে এসেছে। এদিকে কোভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাবে তাদের বিভিন্ন লোহার অস্ত্রপাতি তৈরীর প্রয়োজনীয় উপকরণের চরম অভাব দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। অপরদিকে কয়লা ও লোহার দাম বেশি থাকায় তৈরি করা অস্ত্রপাতির সঠিক মূল্যও পাচ্ছেনা তারা।

সরেজমিনে গড়চৈতন্যপুর কর্মকার পাড়ায় গিয়ে জানা যায়, কোরবানির গরু কেনার সাথে মিল রেখে গরু জবাইয়ের প্রয়োজনীয় অস্ত্রপাতি কিনা ও মেরামতের জন্য সোনাতলা বাজার সহ গড়চৈতন্যপুর কর্মকার পাড়ায় তেমন কোন ভিড় চোখে পরেনি। গরু-ছাগল ,ভেড়া জবাই ও মাংস কাটা-কাটি এবং চামড়া ছড়ানো জন্য দা, ছুড়ি, বোটি, চাপাতি সহ বিভিন্ন অস্ত্রপাতি কেনার মতো মানুষের আগ্রহও পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

গড়চৈতন্যপুর কর্মকার পাড়ার, বাকু চন্দ্র কর্মকার,দুপচাঁচিয়া উপজেলার কইল কর্মকার পাড়ার,শ্রী তরুন কর্মকার,শ্রী সুভাশ কর্মকার,বগুড়া সদর উপজেলার ধাওয়া কর্মকার পাড়ার,শ্রী অক্ষয় কর্মকার সহ এরা প্রতিনিধিকে বলেন, আগের মতো আর লোহার তৈরী জিনিসের কদর নেই।

তারা আক্ষেপ করে বলেন সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় পোষাতে না পেরে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছেন। আমাদের বাপ-দাদারা এই পেশায় কাজ করতো আমরা ও করছি কিন্তু জানিনা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারি কি না। তাদের সকলের দাবি সরকার যদি সহজ শর্তে তাদের এ শিল্প টিকিয়ে রাখার জন্য লোন দিত তাহলে হয়ত তাদের টিকে থাকা সম্ভব হতো বলে মনে করেন তারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button