জেলার খবর

বাঁশখালীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান ভাংচূর ও লুটপাটের অভিযোগ

এনামুল হক রাশেদী,বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)

বাঁশখালীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান ভাংচূর ও লুটপাটের অভিযোগ

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ী ইউনিয়ন প্রেম বাজারের মরহুম মাষ্টার ছৈয়দুল হকের ছেলে নাজমুল হক মুরাদের মুদির দোকানে আদালতের নিষাধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানের মালিক মুরাদ।

বিলম্বে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আনুমানিক ভোর ৫ টার সময় আদালত অবমাননাকর এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে দোকান মালিক মরহুম মাষ্টার ছৈয়দুল হকের ছেলে নাজমুল হক মুরাদ বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আহমদ কবিরের ছেলে খালেদ বিন কবির ও হাজী আবদুর রহমান এর ছেলে আহমদ কবিরসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা হয়।
মামলার সূত্র ধরে সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, দোকান মালিক নাজমুল হক মুরাদ ও মামলার আসামীদের মধ্যে পূর্বে থেকে বিরোধ চলে আসছিল।

এ নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করা হয়েছিল। বাদীর ঐ মামলায় আদালত বাদীর ভোগ দখলে যেন বিঘ্নতা সৃষ্টি না ঘটে তার জন্য আসামীপক্ষকে অস্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। যাহা এখনো বলবৎ আছে। স্থানীয় বাজারের দোকানদার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দোকানটি শুক্রবার সকালে ফজরের নামাজের পর আনুমানিক ভোর ৫ টার সময় লুটপাট হয়।

লুটপাটে অপরিচিত লোক সহ প্রায় ১০/১৫ জন ছিল। ওরা দোকানের তালা ভেঙ্গে ভাংচূর চালায়। দোকানের মালিক খবর পেয়ে এসে বাঁধা দিলে প্রাণে মারার ও তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় এবং লুটপাটকারী সন্ত্রাসীরা মালামাল ট্রাকে ভরে নিয়ে চলে যায় বলে জানিয়েছেন দোকানের মালিক মুরাদ।

বাজারের ব্যবসায়ী নাজমুল হক বলেন, দোকান লুটপাটের ঘটনা জানার সাথে সাথে এসে বাঁধা দিলে আমাকে বন্দুক থাক করে হুমকি দেয় এবং মালামাল গাড়ি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পাশে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধারণা করা ভিডিও ফুটেজও আছে বলে জানান অনেক ব্যবসায়ী।

দোকান লুটপাতের সময় ৯৯৯ এ ফোন করা হলে তৎক্ষনাৎ বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। মুদি মালামাল, মুরগী ও ক্যাশ টাকাসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দোকান মালিক মুরাদ। এ ঘটনার জন্য তিনি থানায় এজাহার দায়ের সহ প্রশাসন এর কাছে ক্ষতিপূরণ ও উচিত বিচার দাবী করেছে।

মামলার ঘটনা তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঁশখালী থানার এ এস আই ফিরোজ মুটোফোনে বলেন, ৯৯৯ এ কল পাওয়ার পর বাঁশখালী থানার পক্ষ হয়ে আমি তৎক্ষনাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পরে জানতে পারলাম একটা দোকান লুটপাট হয়েছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আমি উভয়পক্ষকে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি এবং ঘটনার তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button