স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রশংসনীয় তৎপরতা
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রশংসনীয় তৎপরতা
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধ ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার পাশাপাশি যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিদিন সকাল-বিকাল মাঠে ময়দানে স্ব-শরীরে চষে বেড়াচ্ছেন।
১৭ জুলাই’২১ ইং শনিবার কোভিড-১৯ মহামারীর উর্দ্ধগতিকালীন জনগন স্বাস্থ্যবিধি কেমন মেনে চলছে তা পর্যবেক্ষণের বাঁশখালীর পৌরসভার গরুর হাট, টাইম বাজার, চাম্বল বাজার ও বহদ্দারহাট ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে জনসাধারণের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে সচেতনতার প্রচন্ড অভাব লক্ষ্য করা গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী। সংক্রমণের বিস্তার রোধকল্পে সর্বসাধারণের মাঝে এসময় প্রায় ৪ শতাধিক মাস্কও বিতরণ করা হয়।
এসময় ইউএনও সাইদুজ্জামান চৌধুরী সাধারন জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, সারাদেশে করোনা সংক্রমন ব্যাপক হারে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিভিন্ন জেলায় নিহত ও অাক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বজনদের আহাজারীতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। কোভিড-১৯ সংক্রমন থেকে দেশের কোন জেলা-উপজেলা বাদ নেই, তুলনামুলকভাবে যেসব এলাকায় এখনো সংক্রমন ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েনি, সেখানে জনগন নিজদায়িত্বে সচেতন না হলে কিন্তু ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
সরকার জনগনের ধর্মিয় অনুভুতির প্রতি সহানুভুতিশীল হয়ে ঈদুল আজাহা উপলক্ষে ২৩ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শীতিল করলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার নির্দেশ বলবৎ রেখেছেন। তাই নিজে সুরক্ষিত থাকতে এবং অন্যকেও সুরক্ষিত রাখতে প্রত্যেক নাগরিককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, অাইন অমান্যকারীকে অর্থদন্ড সহ আইনের আওতায় আনা হবে। সাধারন জনগনের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি করতে তিনি সমাজের প্রত্যেক পেশাজীবি ও সুশীল সমাজের সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্যঃ উপজেলা নির্বাহি অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী লকডাউন ঘোষনার শুরু থেকে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন সহ প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দির্ঘপথ পায়ে হেঁটে হেঁটে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি নিয়মিত মাস্ক বিতরন সহ জনগনের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে দিন-রাত কর্মব্যস্ত সময় অতিবাহিত করার মাধ্যমে জনগনের অাস্থার প্রতীকে পরিনত হয়েছেন। ইউএনও’প্রতিদিনকার পর্যবেক্ষন ও তৎপরতায় সহযোগিতা করে চলছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসারের সদস্যরা।