চিঠির মাধ্যমে অপরাধীর সন্ধান নেবে বগুড়ার পুলিশ।
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার) বলেছেন, বগুড়ার মানুষের নাগরিক সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছে জেলা পুলিশ বিভাগের সদস্যরা। সুবিধা দিতে ব্যর্থ হলে জেলা ছেড়ে চলে যাবেন বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের নিশিন্দারা ফকির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের হলরুমে বগুড়া সদর থানার আয়োজনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিয়ম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, বগুড়ার মানুষ শান্তি প্রিয়। তাদের শান্তি নষ্ট করতে যারাই আসবে তাদের বগুড়া পুলিশ বিভাগ খুজে বের করে কঠিন শাস্তি ব্যবস্থা করবে। শান্তি প্রিয় মানুষদের শান্তি রাখার দায়িত্ব বগুড়ার পুলিশ বিভাগের। বগুড়ার মানুষ অনেকের জায়গা আছে কিন্তু বাড়ি করতে ভয় পান স্থানীয় দস্যুদের কারণে। যারা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে বাড়ি ঘর থেকে চাঁদাবাজি করেন, ইট বালু সিমেন্ট দেয়ার নাম করে ক্ষতিগ্রস্ত করেন। তাদের জন্য বগুড়া জেলা পুলিশের একটি বার্তা থাকল। বগুড়া শহরের প্রতিটি নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে জেলা পুলিশ কতৃক একটি করে প্যানা পোস্টার লাগানো থাকবে। তাতে লেখা থাকবে ‘বাড়িটি বগুড়া জেলা পুলিশের পর্যবেক্ষণে নির্মাণ হচ্ছে’। নিমার্ণ সামগ্রী ও নিমার্ণে কোন বাধা বিপত্তি সৃষ্টিকারীদের আর সহ্য করা হবে না।
পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, প্রতিটি এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদক বিক্রেতাদের গড ফাদারদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। মাদক নিমূলে প্রতিটি এলাকার সচেতন ব্যক্তিদের সহযোগিতা প্রয়োজন। যারা মাদক দিয়ে সমাজের যুবকদের নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত তাদের পরিচয় দিন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করবে পুলিশ বিভাগ। ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই, যিনি তথ্য দিবেন তিনি নিশ্চিত থাকবেন তার পরিচয় গোপন থাকবে। আধিপত্য বিস্তার করার কারণে বিভিন্ন এলাকায় মারামারি ও খুনের মত ঘটনা ঘটছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, ইট-বালু ব্যবসা নিয়ে ঘটেছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, বগুড়ার পুলিশ বিভাগকে খবর দিন কোথায় এসব ঘটছে, কারা এসবের সাথে সংশ্লিষ্ঠ। পুলিশ সদস্যরা বগুড়ায় আইনশৃংখলা বজায় রাখতে সকল ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত থাকবে। প্রতিটি এলাকায় একটি করে লেটার বক্স দেয়া হবে। যারা ভয় পাচ্ছেন কোন কিছু প্রকাশ করতে যদি ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্ত হোন! তারা এই লেটার বক্সে বেনামী চিঠিতে আপনার এলাকার কোথায় কোন অপরাধ হচ্ছে, কারা করছে তার সঠিক তথ্য দিন। আমরা সেই চিঠির মাধ্যমে ওই এলাকার অপরাধীদের আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করব।
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসমএম বদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সার্জিল আহমেদ টিপু, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।