বাঁশখালীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ইউএনও’র ঝঠিকা অভিযান
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
বাঁশখালীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ইউএনও’র ঝঠিকা অভিযান
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় ভূমি দস্যুরা নিয়মিতভাবে অবৈধ বালু উত্তোলন করে পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতির পাশাপাশি লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ঝঠিকা অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৪০০ ঘনফুট অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বালু জব্দ করতে পারলেও পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে ভূমিদস্যুরা।
১০ জুলাই’২১ ইং শনিবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের পাহাড়ী অঞ্চলে কুমারী ছড়ায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে কুমারী ছড়া থেকে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত প্রায় ৪০০ ঘনফুট তাজা বালু জব্দ করেন।
এসময় প্রশাসনিক অভিযানের খবর পেয়ে বালু উত্তোলনে নিয়োজিত ভুমিদস্যু ও শ্রমিকরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অভিযান পরিচালনার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা, ইউপি সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, সমাজের একশ্রেনীর অর্থলোভী প্রভাবশালী মহল সংগোপনে স্থানীয় বাসিন্দাদের এবং পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতির কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে বেপরোয়াভাবে কুমারী ছড়া থেকে নিয়মিত বালু উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করে আসছিল। এতে ছড়ার দুপাশ ভেঙ্গে পরিবেশের মারাত্বক ক্ষয়-ক্ষতির পাশাপাশি ছড়ার দুপাশে চাষাবাদের জমি ভেঙ্গে খালে পরিনত হচ্ছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা। তিনি বলেন এই বিষয়গুলো আমার দৃষ্টি গোচর হয়নি কখনো। ভবিষ্যতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরোদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, গোপনসুত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমি তাৎক্ষনিকভাবে হাজির হয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সত্যতা পেয়েছি, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০০ ঘনফুট সদ্য উত্তোলনকৃত তাজা বালি জব্দ করেছি, এ অবৈধ কাজে জড়িতরা পালিয়ে গেলেও সুষ্ট তদন্তপুর্বক অপরাধীদের বিরোদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ছড়া থেকে বালু উত্তোলনের ফলে অল্প বৃষ্টিতেও ছড়ার দুপাশে ভাঙ্গন, পরিবেশের ভারসাম্যতা নষ্টসহ বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব ও পরিবেশের ক্ষয়-ক্ষতি সম্পর্কে জনগনকে সচেতন হতে হবে বলে জানান ইউএনও।