জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী আজ উদ্বোধন করবেন ‘ক্লাইমেট ভালনারেবলস ফাইন্যান্স সামিট’ সম্মেলন

আজ অনুষ্ঠিত হবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলার অর্থায়ন সম্মেলন বা ক্লাইমেট ভালনারেবলস ফাইন্যান্স সামিট। অনলাইনে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের ফোরাম ‘ভালনারেবল-২০’। সিভিএফ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ভি-২০-এর সভাপতি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি জানান, ভি-২০ দেশগুলোর বেশ কয়েকজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, জি-২০ এবং শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশ নেবেন। জাতিসংঘ মহাসচিবও ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠেয় এ সম্মেলনে যোগ দেবেন। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে এ সম্মেলন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আজ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হয়ে সম্মেলন চলবে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে গঠিত ভি-২০ গ্রুপের অর্থমন্ত্রীদের এ ফোরাম জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। ভি-২০ ফোরামের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৪৮। ভি-২০ দেশগুলোর জনসংখ্যা প্রায় ১২০ কোটি।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, মানবসৃষ্ট কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। উষ্ণায়ন হচ্ছে উন্নত দেশের কার্বন নিঃসরণের কারণে। ২২ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ করছে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ। উত্তর আটলান্টিকের বরফ গলছে। এতে সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত অনেক শহর বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়াটাই জরুরি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে সহায়তা আসুক বা না আসুক, সরকার দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করে চলেছে। ২০১০ সাল থেকে এ লক্ষ্যে বাজেটে প্রতিবছর গড়ে ২০০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলা ও খাপ খাওয়ানোর কাজে ২৯০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে যে কয়লা ব্যবহার করা হয়, তা অনেকটা কার্বন নিঃসরণমুক্ত। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রেও একই ধরনের কয়লা ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, চাইলেও সৌরবিদ্যুৎ বাড়ানোর সুযোগ বিশেষ নেই। কারণ, এ কাজে প্রচুর জমি দরকার হয়। তবে জ্বালানির ঘাটতি সরকার রাখবে না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button