জেলার খবর

ধামরাইয়ে কৃষকের ঋনের টাকা আত্মসাৎ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ধামরাইয়ে কৃষকের ঋনের টাকা আত্মসাৎ

ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা গ্রামে ভূমিহীন কৃষক সমিতির কৃষি ব্যাংকের ঋণের সমুদয় টাকা আত্নসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে সমিতির সভাপতি মনিরুজামান (টুকু) র বিরুদ্ধে।

সরজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায় ২০০৫ সালে দেশে সরকারি ভাবে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে ভূমিহীন কৃষক সমিতি গঠন করা হয় এবং তাদের কৃষক প্রতি প্রথম দফা ৯০০০/- হাজার টাকা দ্বিতীয় দফা ১২০০০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়া হয়। সেই ঋণের টাকা ১২টি কিস্তিতে সমিতির সাভাপতি মনিরুজ্জামান টুকু র মাধ্যমে পরিশোধ কারা হয়।

একযুগ পরে ব্যাংক থেকে কিস্তি পরিশোধের নোটিশ আসে ১৮ জন কৃষকের বাড়ীতে, পরে গ্রুপের সকলে টুকুর কাছে গেলে সে তাহা অশিকার করে।

এ বিষয়ে টুকুর বিরুদ্ধে স্থানীয় ভাবে বিচার ডাকা হলে সেখানে টুকু টাকা আত্নসাৎ করার কথা স্বীকার করে এবং তাহা পরিশোধের অঙ্গীকার করে।

বিচারের ৫ বছর অতিক্রম হলেও পরিশোধ হয়নি ব্যাংকের ঋণের একটি টাকাও। সেই টাকার কারণে ব্যাংক এখন প্রতিটি গ্রাহককে নোটিশ দিয়ে বিভিন্ন মামলার কথা বলছে। এতে নিরীহ কৃষকগণ দিশাহারা হয়ে গ্রামের মাতাব্বরদের ধারে ধারে ঘুরছে।

ভুক্তভোগি ও বাংক সুত্রে জানাযায়, ২০০৫সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২তারিখে ১৯জন ভুমিহীনদের নিয়ে সমিতির মাধ্যমে কৃষি ব্যাংক বেলিশ্বর শাখা ভুমিহীনদের ঋণ দেন। সেই সমিতির সভাপতি ছিলেন জালসা গ্রামের মোঃ মনিরুজ্জান টুকু।

এ বিষয়ে টুকু বলেন আমি সভাপতি ছিলাম কিন্তু ঋণের সুমোদয় টাকা ব্যাংকের লোন অফিসার আব্দুল আলীমের কাছে পৌছে দিয়েছি,আমি কোন টাকা আত্নসাৎ করিনি।

জালসা গ্রামের মাতাব্বর ইউনিয়ন আওয়ামী-লীগের সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন, ব্যবসায়ী খোকন মুন্সী, বীরমুক্তিযোদ্ধা শামছুল ইসলাম বলেন, আমরা ভুমিহীনদের ঋণের বিষয়ে মনিরুজ্জামান টুকু কে নিয়ে বসে ছিলাম, সেখানে সে সমিতির সদস্যদের ঋণের টাকা আত্নসাৎ করার কথা স্বীকার করেছে এবং পরিশোধের অঙ্গীকার করেছে।

কৃষি ব্যাংকের লোন অফিসার অবসর প্রাপ্ত আব্দুল আলীম বলেন, আমি ব্যাংক থেকে ২০১৮ সালে অবসরে আসছি। জালসা গ্রামে ভুমিহীনদের একটি সমিতির মাধ্যমে ঋণ দিয়ে ছিলাম। কিন্তু টাকা তারা পরিশোধ করেনি।তবে কিছু দিন আগে জালসা গ্রামের কিছু লোকজন আমার কাছে এসেছিল। পরে কি হয়েছে আমি জানিনা।

কুষি ব্যাংক বেলিশ্বর শাখার ম্যানেজার হিলাল-ই-সবুর বলেন, আমি গত ছয় মাস হয় এখানে যোগদান করেছি। তবে জালসা গ্রামের ভুমিহীন সমিতির টাকা বকেয়া রয়েছে। সেগুলি তারা পরিশোধ করছে না। তাই ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠিয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button