লালমোহনে হাসপাতালের রোগীকে চেম্বারে যেতে পরামর্শ ডাক্তারের
ভোলার লালমোহন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীকে চেম্বারে দেখা করতে বলে বিনে চিকিৎসায় ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হাসপাতালের বহির্বিভাগে সন্তানকে নিয়ে গেলে এক মাকে ফিরিয়ে দেন তিনি। জানা যায়, ৫মাস বয়সী সন্তানের জ্বর থাকায় গত ২৬ জুন (শনিবার) সন্ধ্যায় লালমোহন আঁখি মেডিকেল হলে ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুনের চেম্বারে যায় পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী। এসময় ৪শ টাকা ফি নিয়ে ঔষধ দিলে বাড়ি ফিরে যান তারা।
ভূক্তভোগী ফরহাদ হোসেন বলেন, চারদিনেও সন্তান সুস্থ না হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে যায় তার স্ত্রী ও বোন। পরে বহির্বিভাগের ২নং কক্ষে কর্তব্যরত ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুনের কাছে গেলে প্রথমে টোকেন সংগ্রহের কথা বলেন। পরে বিকেলে চেম্বারে দেখা করতে বলেই কক্ষ থেকে বেরিয়ে গেলে ডাক্তারকে না পেয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন তারা।
জানতে চাইলে ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ ডিউটিতে ছিলেন না তিনি। তাহলে হাসপাতালের ২নং কক্ষে বসে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীকে ফিরিয়ে দিলেন কিভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে রোগী ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাদের কাছে টোকেন ছিলনা।
এদিকে ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন ডিউটিতে ছিলেন কিনা জানতে চাইলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাঃ নিলুফা বেগম রাগান্বিত ভাষায় বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখেন।
পরে ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন ডিউটিতে আছেন জানিয়ে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, রোগীর সেবায় টোকেন কোনও দোহাই হতে পারেনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন বিকেল ৪টায় লালমোহন বাজারের সোনালী মেডিকেল হল ও সন্ধ্যায় আঁখি মেডিকেল হল’র চেম্বারে বসেন ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন। অভিযোগ রয়েছে অতিরিক্ত টাকার আশায় ডিউটি চলাকালীন সময়েও চেম্বারে আসেন তিনি।
আজ দুপুর পৌনে ১টার দিকে মুঠোফোনে কর্তব্যরত এক নার্স জানান, ডাক্তার আবদুল্লাহ আল মামুন ডিউটিতে আছেন, তবে হাসপাতালের কোনও আবাসিক রোগীকে দেখতে আসেননি তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মহসিন’র ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তারা।