রায়পুরায় চরাঞ্চলে রাতের অন্ধকারে বসতঘরে আগুন: সকালে খোলা ময়দান থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
সাদ্দাম উদ্দীন রাজ, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
রায়পুরায় চরাঞ্চলে রাতের অন্ধকারে বসতঘরে আগুন: সকালে খোলা ময়দান থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের কাচারিকান্দী গ্রামে রাতের অন্ধকারে প্রায় ২০টি বসতঘর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসময় আফসানা (১৬) নামে এক তরুণীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টায় উপজেলার কাচারিকান্দী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানাযায়, বর্তমান ইউপি সদস্য শাহ-আলম মিয়া ও সাবেক ইউপি সদস্য মৃত ফজলু মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তারই জেড় ধরে রবিবার রাতে বর্তমান ইউপি সদস্য শাহ-আলম মেম্বারের সমর্থকদের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ দেওয়া হয়। এ ঘটনার পরই ঐ রাতে এক তরুণীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, শাহ-আলম মেম্বারের কাকা ও রুপ মিয়ার ভাই শাজাহানের ভবনসহ প্রায় ২০টি আধাপাকা বসতঘরে ভাংচুর চালানো হয়।
ভুক্তভোগীরা জানায়, বাড়িঘর যাতে ভাংচুর না করে সেজন্য প্রতি ঘর থেকে ৪লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার আব্দুল ওয়াহাব ও শাহ-আলম মেম্বার এবং রউফ মিয়ার বাড়িতেও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়।
অপরদিকে ওই ঘটনার পর রাতেই আফসানা আক্তার (১৬) নামে এক তরুনীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত আফসানা একই গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে ও শাহালম মেম্বারের সমর্থক।
নিহতের মা আবেদা খাতুন জানান, রবিবার রাত দুইটার দিকে ৪-৫জন লোক আমার মেয়েকে মুখ চেপে ধরে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। এর কয়েক ঘন্টা পরে মেয়ের লাশ জমিতে পরে থাকতে দেখা যায়।
বাশঁগাড়ী পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে এসে আফসানা নামে একটি মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ফজলু মেম্বারের সমর্থক বলার বাড়ির মফিজ উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে তারা আমার ভাই শহিদ মিয়া সহ আরো একজনকে হত্যা করেছে। এখন তারাই আবার আমাদের ফাঁসানোর জন্য নিজেরাই ঐ মেয়েকে হত্যা করেছে। গতকাল রাতের এই ঘটনার সাথে আমরা কোনভাবেই জড়িত নই।
অন্যদিকে খাদ্দার বাড়ির ভুক্তভোগী রজব আলীর স্ত্রীর অভিযোগ, গত রাতের সহিংসতার ঘটনার সময় ১০০গজ দূরে অবস্থিত পুলিশের ক্যাম্পে গিয়ে পুলিশী সহায়তা চাইলে তারা পুলিশের কাছ থেকে কোনপ্রকার সহায়তা পায়নি।