আওলাদে রাসূল (সঃ) সৈয়দ শামসুদ্দোহা মাইজভান্ডারীর ইন্তেকালঃ বিভিন্ন মহলের শোক
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)
আওলাদে রাসূল (সঃ) সৈয়দ শামসুদ্দোহা মাইজভান্ডারীর ইন্তেকালঃ বিভিন্ন মহলের শোক
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ির থানার অর্ন্তগত
মাইজভান্ডার দরবার শরীফের আধ্যাত্মিক শরাফতের প্রতিষ্টাতা ও অন্যতম প্রবর্তক অলীকুলের শিরোমনী আওলাদে রসূল (সাঃ) গাউছুল আযম মাওলানা সৈয়দ গোলামুর রহমান বাবা ভান্ডারীর দৌহিত্র শাহেবজাদা মাওলানা শাহ সৈয়দ মাহবুবুল বশর মাইজভান্ডারীর দ্বিতীয় পূত্র শাহেবজাদা মাওলানা সৈয়দ শামসুদ্দোহা মাইজভান্ডারী(৮২) ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার দরবারস্থ নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহী ওয়াইন্নাইলাইহী রাজিউন) ২১জুন’২১ইং সোমবার রাত ১টার সময় বার্ধক্যজনিত কারনে মাওলানা সৈয়দ শামসুদ্দোহা মৃত্যুবরন করে বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
২৪ জুন বাদে আছর মরহুমের নামাজে জানাযা মাইজভান্ডার দরবার শরীফের শাহী দরবার মাঠে অনুষ্টিত হওয়ার পর দরবার শরীফে তাঁর পারিবারিক কবর স্থানে তাঁকে দাফন করা হবে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মরহুমের একমাত্র পুত্র শাহেবজাদা গোলামুর রসূল মাইজভান্ডারী।
মরহুমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মাইজভান্ডার মঞ্জিল সহ সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। সদা হাস্যোজ্জল অমায়িক ও এলাকার সর্বজন প্রিয় প্রবীণ আলেম জীবদ্দশায় দ্বীনের অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে যুগ যুগ ধরে শান্তি, কল্যাণ ও সম্প্রীতির বাণী প্রচার করে গেছেন মানুষের মাঝে। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর অসংখ্য মাইজভান্ডার মুরিদান সহ ভক্তানুরাগী।
হযরত মাওলানা সৈয়দ সমসুদ্দোহা মাইজভান্ডারী (ক.) এর চরিত্রের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিলো রাসূল (সা.) এর আদর্শকে যথাযথভাবে অনুসরণ করা। তিনি সাদাসিদে জীবন যাপন করেছেন। তাঁর মতো বিনয়ী ও উদার প্রকৃতির মানুষ খুব কমই দেখা যায়। পার্থিব জীবনের চেয়ে পরকালীন জীবনকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করেছেন সারাজিবন। শাহানশাহ মাওলানা সৈয়দ সমসুদ্দোহা মাইজভান্ডারী (ক.) এর জীবনে পার্থিব মোহ লোভ লালসা বলতে কিছুই ছিল না। তিনি বলতেন, ‘নিজের ভিতর দৃষ্টি দাও, বহির্জগতের চেয়েও অপরূপ সুন্দর দৃশ্যাবলী দেখতে পাবে।’
গত ২৩শে মে,২১ ইং তারিখে তাঁহার প্রিয় সহধর্মিনী মরহুমা কামরুন নেছা বেগম ৬৬ বছর বয়সে মারা জান। যিনি নগরীর পাথরঘাটাস্থ বনেদি নিবাসী এবং চট্টগ্রাম জেলার আওয়ামী লীগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মরহুম আলহাজ্ব মো: আলী মিয়ার সুযোগ্য কন্যা ছিলেন।
মরহুমের মৃত্যুতে তাৎক্ষণিক ভাবে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহানুভুতি ও সমবেদনা জানান তাঁর চাচাতো ভাই এবং ফটিকছড়ি আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব দিদারুল আলম, বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, ফটিকছড়ি সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সানি, গাউছুল আযম ডাক্তার আল্লামা সৈয়দ মিশকাতুন নুর মাইজভান্ডারী, সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী, সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারী, সৈয়দ নজরুল হুদা মাইজভান্ডারী, সৈয়দ নজিম উদ্দিন মাইজভান্ডারী, এডভোকেট মিফতাহুল নুর মাইজভান্ডারী, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হোছাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এটি এম পেয়ারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী নাজিম উদ্দিন মুহুরী, মো: খোরশেদ আলী মাইজভান্ডারী, মোস্তফা-হাকিম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো: আবু তাহের, চসিক সাবেক মেয়র আলহাজ্ব মনজুর আলম মঞ্জু, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ফিনলে প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শওকত আলী চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেট্রো পলিটন চেম্বারের পরিচালক বিশিষ্ট শিপ ইয়ার্ড ব্যবসায়ী লেয়াকত আলী চৌধুরী, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালনা পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব এস এম মোরশেদ হোসেন, ট্রেজারার আলহাজ্ব রেজাউল করিম আজাদ, দাতা সদস্য এবং মরহুম নুরুল আবছার চৌধুরী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জি: মো: জাবেদ আবছার চৌধুরী ও সদস্য লায়ন ড: মো: সানাউল্লাহ, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল সমিতির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর জাহাঙ্গীর চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব এস এম শওকত হোসেন ও ট্রেজারার এবং সাবেক প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব আবু জাফর, সিপিডিএলের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন চৌধুরী ও মোস্তফা হাকিম গ্রুপের পরিচালক শাহীন আলম টিপু, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার সাঈদ ইরান, রহমান মঞ্জিলের অনেক আওলাদ, অসংখ্য মাইজভান্ডারের মুরিদান সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি ১ পুত্র ২ কন্যা নাতি-নাতনি আত্মীয় স্বজন গুনগ্রাহী সহ অসংখ্য মাইজভান্ডার তরিকার ভক্তানুরাগী রেখে গেছেন।