জাতীয়

প্রথম ধাপে ২০৪ ইউপিতে ভোট সোমবার

প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকেও সামগ্রিক প্রস্তুতিও শেষ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল সোমবার (২১ মে) সকাল থেকে সারাদেশে ২০৪টি ইউপির ভোটগ্রহণ শুরু হবে।

 

এছাড়া একইদিনে লক্ষ্মীপুর-২ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন এবং ঝালকাঠি সদর ও দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ পৌরসভায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমেছে।

এ নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার (১৯ জুন) রাত ১২টা থেকে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। সোমবার সকাল ৮টা থেকে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে এবং ভোট উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটির আওতামুক্ত থাকবে। তবে ভোটকেন্দ্রসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, নির্বাচনী কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন। ভোটাররাও ভোট দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে ছুটি নিতে পারবেন।

 

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত ১০ জুন জরুরি সভা ডাকে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের জরুরি সভায় প্রথম ধাপের মোট ১৬৩টি ইউপির ভোট স্থগিত করে কমিশন। করোনার উচ্চ সংক্রমণের কারণে খুলনা বিভাগের সবগুলোসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং নোয়াখালী জেলার ইউপি ভোট স্থগিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সোমবার ২০৪টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউপির মধ্যে ২০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন এবং পৌরসভা দুটির ভোট ইভিএমে পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হবে।

 

এ নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার (১৯ জুন) দিবাগত মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, যা আগামী ২২ জুন (মঙ্গলবার) দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এছাড়া রোববার (২০ জুন) দিবাগত মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকায় ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে, যা শেষ হবে ভোটের পরদিন মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল ৬টায়। এর বাইরেও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনের জন্য র‌্যাবের ১০টি টিম, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৮ প্লাটুন, প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য পুলিশের একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করছে। আর দুটি পৌরসভার প্রতিটির জন্য র‌্যাবের দুটি টিম, দুই প্লাটুন বিজিবি এবং পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

 

এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশের একটি মোবাইল টিম, একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স, প্রতি উপজেলার জন্য র‌্যাবের দুটি টিম ও তিন প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে মাদারীপুর, গাজীপুর ও নরসিংদীতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button