জেলার খবর

বাঁশখালীতে জুতা চুরিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের উপর হামলায় আহত-৪

এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি-(চট্টগ্রাম)

বাঁশখালীতে জুতা চুরিকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের উপর হামলায় আহত-৪

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় জায়গা-জমি নিয়ে পুর্ব থেকে বিরোধে লিপ্ত দুই পরিবারে জুতা চুরির অপবাদ দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জঙ্গল নাপোড়া এলাকায় আপন ভাইদের মধ্যে সংঘঠিত এ সংঘর্ষে জিয়া উদ্দিন (১৫) নামে নাপোড়া শেখেরখীল উচ্ছ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্র গুরুতরভাবে আহত হয়ে বর্তমানে বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং অন্য ৩ জনকে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

১২ জুন’২১ ইং শনিবার সকাল ৯ টায় উপজেলার পুইঁছড়ী ইউনিয়নের জঙ্গল নাপোড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘঠে। নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়, উল্লেখিত এলাকায় সহোদর দুই ভাইয়ের মধ্যে জায়গা-জমি নিয়ে দির্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। বাঁশখালী থানার এ এস আই আব্দুল খালেক উভয় পক্ষদ্বয়ের মধ্যে বিরোধ মিমাংসা করে দিয়েছিলেন।

বিরোধীয় পক্ষদ্বয়ের মধ্যে নুর নবীর দখলে থাকা জমি ছেড়ে দিতে হয়েছিল। সে ক্ষোভ থেকে জুতা চুরির মত তুচ্ছ ঘটনায় অর্থাৎ জুতা হারিয়ে গিয়েছে বলে বাড়ির আশে পাশের লোকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল নুর নবী। এ গালি দেওয়াকে কেন্দ্র করে নুরুল হক ও নুর নবীর মাঝে কথা বাড়াবাড়ি হয় বলে জানা যায়।

এক পর্যায়ে নুর নবী, হেফাজ উদ্দীন, আয়েশা ছিদ্দিকা,কুনছুমা বেগম,আনোয়ারা বেগম সহ সবাই মিলে নুরুল হকের আঙ্গিনায় এসে জুতা চুরির অপবাদ দিয়ে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে মারাত্বক হাঙ্গামায় লিপ্ত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নূরনবী তার ছেলের জুতা চুরি হয়েছে বলে বিরোধীয় ভাইয়ের আঙ্গিনায় গিয়ে গালাগালি করতে থাকে। উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মুখোমুখি মারামারি শুরু হলে আনচার সদস্য ও নাপোড়া শেখেরখীল উচ্ছ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্র জিয়া উদ্দীন (১৫) গুরুতরভাবে আহত হয়ে বর্তমানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, সামান্য জুতা চুরির অপবাদ দিয়ে নুর নবী গং আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আসলে জুতা কে নিয়ে গেল নাকি কোথায় হারিয়ে ফেলল সেটা আমরা জানি না।

তাদের পরিবার আর আমার পরিবার আলাদা বাউন্ডারি দিয়ে বসবাস করে আসছি।সে আমাদের পরিবারের সবাইকে গুরুতর জখম করে। জখমীদের মধ্যে জাহানারা বেগম বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। রোকেয়া বেগম কে হাত ভেঙে দিয়েছে। একই সাথে আবেদা কে মাথায় আঘাত করে। অন্য দিকে জিয়া উদ্দীন কোন দোষ না করে ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্রকে ও আঘাত করেছে সন্ত্রাসী নূর নবী প্রকাশ (ভাবচি)। ভুক্তভোগীরা আরও জানায়, আমরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আমাদের অনুপস্থিতি টের পেয়ে আমাদের বাড়িতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আমাদের বাড়িতে থাকা গৃহপালিত প্রাণীর উপরও বর্বরতা চালিয়ে পশু-পাখির ক্ষতি সাধন করেছে।

উক্ত ঘটনায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামলার শিকার পরিবারের পক্ষ থেকে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার এস আই মাসুদ বলেন, ‘জঙ্গল নাপোড়া গ্রামে জায়গা জমি নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বিরোধটি নিষ্পত্তি করেছিল এ এস আই খালেক। কিন্তু উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির জের ধরে হামলার ঘটনায় জাহারা বেগম,রোকেয়া বেগম,আবেদা, ও স্কুল পড়ুয়া জিয়া উদ্দীনকে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক দোষীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানা তিনি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button